বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বোনাস শেয়ার নিয়ে নীতি পাল্টাল বিএসইসি

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ২০:২৯

‘আমাদের আগের নিয়ম ছিল, বার্ষিক সাধারণ সভায় লভ্যাংশ অনুমোদন হবে এরপর পরে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হতো। কিন্তু বিষয়টি কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ কোম্পানি আইন অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির সব।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোনাস শেয়ার অনুমোদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমের আগেই তারা বোনাস শেয়ার অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে, এর আগে যার কোনো সময়সীমা ছিল না।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম এই বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি কোন কোম্পানি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে তাহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বোনাস শেয়ারের অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে।’

গত ৩ অক্টোবর এই নোটিফিকেশন জারি করেছে বাংলাদেশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর গেজেট প্রকাশ হয়ছে ৬ নভেম্বর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আগের নিয়ম ছিল, বার্ষিক সাধারণ সভায় লভ্যাংশ অনুমোদন হবে এরপর পরে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হতো। কিন্তু বিষয়টি কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ কোম্পানি আইন অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির সব।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কী পরিমাণ লভ্যাংশ দেবে তা আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোষিত লভ্যাংশের বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানায়।

লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর ভিত্তি করেই বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, শেয়ারটি বিক্রি করবেন নাকি ধরে রাখবেন। ঘোষিত লভ্যাংশ মনঃপুত হলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ধরে রাখেন। কারণ রেকর্ড ডেট পর্যন্ত যার পোর্টফোলিওতে ওই শেয়ার থাকবে, তিনিই লভ্যাংশের দাবিদার হবেন।

রেকর্ড ডেটের পর শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণে হয় বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম। সেখানেই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হয়।

বিএসইসি চাইছে কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ বেশি দিক। এ কারণে বোনাস শেয়ারের প্রস্তাব যাচাইবাছাই করে এর যৌক্তিকতা বাছাই করছে।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত বছর এসএস স্টিল ও মেট্রো স্পিনিং মিলসের বোনাস শেয়ারের প্রস্তাব বিএসইসি বাতিল করে দেয়। কিন্তু তার আগেই রেকর্ড ডেটের পর দর সমন্বয় হয়ে যায়। এরপর বিএসইসির সিদ্ধান্তে আরও ক্ষতির মুখে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।

পরে সিদ্ধান্ত হয় দুটি রেকর্ড ডেটের। নগদ লভ্যাংশের বিষয়ে একটি এবং বোনাস শেয়ারের বিষয়ে আরেকটি রেকর্ড ডেট থাকে। কিন্তু গত বছর ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা ইউনিয়ন ব্যাংকের এই লভ্যাংশ এখনও অনুমোদন করেনি বিএসইসি। ফলে বোনাসের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা এখনও অন্ধকারে, যদিও এজিএমে এই প্রস্তাব পাস হয়ে গেছে।

রেজাউল করিম বলে, ‘বোর্ড যদি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে তাহলে তারা ঘোষণার পরই বার্ষিক সাধারণ সভার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। যদি কমিশন অনুমোদন দেয় তাহলে শেয়ার হোল্ডাররা বোনাস শেয়ার পাবে। আর যদি কমিশন অনুমোদন না দেয় তাহলে শেয়ার হোল্ডাররা কোনো বোনাস পাবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর