বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডলার সংকট: লভ্যাংশের অপরিশোধিত টাকা ব্যবহার করবে ম্যারিকো

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২২ ২১:০৪

২০২১-২০২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ২০০ শতাংশ, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম অন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ৪৫০ শতাংশ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় অন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ৩০০ শতাংশ ঘোষণা করেছে।  

ব্যবসার খরচ মেটাতে নিজেদের ঘোষণা করা লভ্যাংশের অপরিশোধিত টাকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ম্যারিকো বাংলাদেশ। আর তাতে অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কমিশন থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগেও সংকটে পড়ে নিজেদের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ঘোষিত সর্বশেষ লভ্যাংশের টাকা, আর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই অন্তবর্তকালীন ঘোষিত লভ্যাংশের অপরিশোধিত টাকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে ওষুধ খাতে তালিকাভুক্ত ম্যারিকো বাংলাদেশ।

ম্যারিকো শুধু ভারতের বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠানোর জন্য সরিয়ে রাখা ঘোষিত লভ্যাংশের অপরিশোধিত ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল।

প্রতিষ্ঠানটি বিএসইসির কাছে বলেছে, ডলার সংকটে তাদের সমস্য হচ্ছে। ডলার সংকট না কাটা পর্যন্ত ভারতের বিনিয়োগকারীদের পরিশোধের জন্য অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখা ঘোষিত লভ্যাংশের টাকা নিজেদের ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টে এনে ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল।

পরে বিএসইসি শর্ত সাপেক্ষে তাতে অনুমোদন দেয়।

রোববার এক চিঠির মাধ্যমে ম্যারিকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জানিয়েছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে ম্যারিকো বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব ইলিয়াস আহমেদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কথা বলার এক্তিয়ার আমার নেই। আপনি কোম্পানির মেইলে ইমেইল করুন।’

২০২১-২০২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ২০০ শতাংশ, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম অন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ৪৫০ শতাংশ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় অন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ৩০০ শতাংশ ঘোষণা করেছে।

ম্যারিকো বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ম্যারিকো ইন্ডিয়া। আর ম্যারিকো ইন্ডিয়ার কাছে পরিশোধযোগ্য লভ্যাংশের ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল ম্যারিকো বাংলাদেশ।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

২০২০ অর্থবছরে ম্যারিকো ২৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৯৫ টাকা।

২০২১ অর্থবছরে মুনাফা হয় ৩১০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেওয়া হয় শেয়ার প্রতি ৯০ টাকা।

২০২২ অর্থবছরে মুনাফা হয় ৩৫৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেওয়া হয় প্রতি শেয়ারে ৮০ টাকা।

পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির ৩ কোটি ১৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার।

ম্যারিকো বাংলাদেশের বর্তমান বাজার মূলধন ৭ হাজার ৬২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ২১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর