বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইএমএফের শর্ত জনগণের বাড়তি বোঝা হবে: টিআইবি

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:১১

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আইএমএফ-এর ঋণ প্রদান ব্যবসার অপরিহার্য বাস্তবতা হচ্ছে তাদের দেয়া শর্তগুলো, যা প্রায়শ কঠিন ও অপ্রীতিকর হয়। প্রতিষ্ঠানটির শর্তের প্যাকেজ কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জনের সম্ভাবনা কম। বরং এর মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাবের বাড়তি বোঝা তৈরি হবে।’

বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কিছু শর্তের বৈষম্যমূলক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে নিজস্ব নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি সংস্কারের মতো কিছু শর্তের সম্ভাব্য অসম প্রভাবের বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে টিআইবি।

সংস্থাটির মতে, শর্তের পুরো প্যাকেজ এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাব আরও বেড়ে না যায়।

বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির নীতিগত বাধ্যবাধকতার উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ঋণ আলোচনায় আইএমএফ নিজস্ব নীতি বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কার্যকর কৌশলগত বিষয়ে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো না নিয়ে তৈরি করা শর্তের প্যাকেজ কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জনের সম্ভাবনা কম। বরং এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাবের বাড়তি বোঝা তৈরি হবে।’

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘আইএমএফ-এর ঋণ প্রদান ব্যবসার অপরিহার্য বাস্তবতা হচ্ছে তাদের দেয়া শর্তগুলো, যা প্রায়শ কঠিন ও অপ্রীতিকর হয়।’

শর্তের প্যাকেজ জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয় নাকি তা জনগণের জন্যই বিপরীতমুখী ফল বয়ে আনে?- এমন প্রশ্ন তুলেছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের নিম্ন কর-জিডিপি অনুপাত নিয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের উদ্বেগ যথার্থ। কিন্তু ভ্যাটের ওপর আইএমএফ-এর প্রস্তাবিত কৌশলের নির্ভরতা উদ্বেগজনক, যার বৈষম্যমূলক প্রভাব সর্বজনবিদিত।’

টিআইবি বলছে, ‘আইএমএফের শর্তগুলোতে ব্যাপক কর ফাঁকি এবং অর্থপাচার, বিশেষ করে মিস ইনভয়েসিং-ভিত্তিক অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপের কোনো ইঙ্গিত নেই। দেশে ও দেশের বাইরে আর্থিক লেনদেনের তথ্য স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের জন্য কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা সম্ভব।’

ড. জামান বলেন, ‘আইএমএফ দুর্নীতি ‌ও অর্থপাচার রোধে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের সম্পর্কে যা প্রচার করে, তা অনুশীলনও করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর