বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রোকারদের নিরাপত্তা জামানত নিয়ে ডিএসই-ডিবিএ মতভেদ

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৩২

ডিএসই ট্রেক হোল্ডারস মার্জিন রেগুলেশন অনুযায়ী প্রত্যেক সাধারণ ব্রোকারেজ হাউজকে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে ৫০ লাখ টাকা জমা রাখতে হবে। আর মার্জিন লোন দিলে বা প্যানেল ব্রোকার হিসেবে কাজ করতে হলে এক কোটি টাকা জমা দিতে হবে। ডিএসই এই টাকা চাইলেও ডিবিএ দাবি তুলছে, ডিএসইতে তাদের যে শেয়ার আছে, সেটি জামানত হিসেবে ধরা হোক।  

চেক নগদায়নের আগে শেয়ার কেনা যাবে না- নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন আদেশে এক মাস ধরে পুঁজিবাজারে টালমাটাল পরিস্থিতিতে নতুন একটি ইস্যু সামনে এসেছে, যেটি নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ও স্টক ব্রোকারদের অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেক হোল্ডার রেগুলেশনসের সংশোধনীতে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ৫০ লাখ টাকা জমার বিধান রাখা হয়েছে। তবে ব্রোকারেজগুলো টাকা না দিয়ে ডিএসইতে তাদের শেয়ারকে জামানত হিসেবে গণনার দাবি তুলেছে।

ব্রোকারদের দাবি আমলে নিয়ে কাজও করছে ডিএসই। আর এসব কারণেই জামানত জমা দেয়ার মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়েছে সংস্থাটি। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিই বরাবর রোববার এক চিঠিতে সময় বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে সংশোধিত ট্রেক হোল্ডারস মার্জিন রেগুলেশন মেনে চলার জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।’

অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামানত জমা না রেখেই কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও আইনের ব্যত্যয় হবে না।

২৪ এপ্রিল গেজেট আকারে প্রকাশিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ট্রেক হোল্ডারস মার্জিন) রেগুলেশন, ২০১৩-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সাধারণ ব্রোকারেজ হাউজকে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে ৫০ লাখ টাকা জমা রাখতে হবে। আর মার্জিন লোন দিলে বা প্যানেল ব্রোকার হিসেবে কাজ করতে হলে (আইনে যেটাকে ‘হোলসেল ব্রোকার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) অতিরিক্ত ৫০ লাখ টাকা অর্থাৎ মোট এক কোটি টাকা জমা দিতে হবে।

এ বিষয়ে আরও বলা যায়, ‘উপ-ধারা ১- এর অনুযায়ী নিরাপত্তা আমানত নগদ বা মার্জিনেবল সিকিউরিটিজে রাখা যাবে। যার ওপর স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রণ বা অধিকার থাকবে। ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিগুলো ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্টের অর্থ পরিশোধে অনিয়ম করলে ওই সম্পদ ব্যবহার করে তা নিষ্পত্তির ক্ষমতা থাকবে ডিএসইর।’

আইনটি পরিপালনের জন্য এর আগেও এক দফা সময় বাড়ানো হয়েছিল। ডিএসইর অংশীদার ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দাবি, তাদের মালিকানার শেয়ার জামানত হিসেবে গণনা করা হোক।

এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একটা চিঠি দিয়েছি। কেননা আমাদের শেয়ার ডিএসইর কাছে অলরেডি ৩৫ শতাংশ আছে। অলরেডি এটা গ্যারান্টিড। আমাদের শেয়ারের ২৫ শতাংশ চায়নার কাছে বিক্রি করেছি। ৩৫ শতাংশ ডিএসইর কাছে আছে, আর ৪০ শতাংশ আমাদের কাছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্লায়েন্টের টাকার ইন্টারেস্ট আমরা পাব না। অথচ ক্লায়েন্ট বাই করবে সেটার জন্য টাকার ডিপোজিট আমরা দেবো কেন? ক্লায়েন্ট শেয়ার কিনবে, তার টাকা দিয়ে সে ডিপোজিট রাখবে। অথচ আমরা ক্লায়েন্টের টাকা গ্যারান্টি হিসেবে রাখতে পারব না, আমাদের টাকা রাখতে হবে, কেন? এটা গ্রহণযোগ্য নয় কোনোভাবেই।’

অংশীদার ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দাবি পূরণের কথা উঠে এসেছে ডিএসইর চিঠিতেও। সেখানে বলা হয়, ‘ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের শেয়ার (স্টেক) জামানতের বিকল্প হিসেবে ডিএসইতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে। আমরা উল্লিখিত প্রবিধান বাস্তবায়নের সময় বাড়ানোর জন্য কমিশনের (বিএসইসি) কাছে অনুমতি চেয়েছি। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য এটি নিয়ে কাজ করছি।’

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুর রহমান মজুমদার জানান ট্রেক হোল্ডার রেগুলেশনস বাস্তবায়নের সময় বাড়ানোর অন্যতম একটি কারণ হলো ব্রোকারদের দাবির যৌক্তিকতা পর্যালোচনা।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হ্যাঁ, ওইটা একটা ইস্যু। যেহেতু বিষয়টা সামনে এসেছে, দেখা দরকার। ওই বিষয়ে বিবেচনা করে দেখছি, করা যায় কি-না।’

‘সময় বাড়ানোর আরেকটা কারণ হলো- হাউজগুলোর প্রস্তুতি নাই, প্রস্তুতির ব্যাপার আছে।’

ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর