বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পোশাক রপ্তানি ২০ শতাংশ কমার শঙ্কায় বিজিএমইএ

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:১৮

‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা বাজারে প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি কমছে।’

শিল্প কারখানাগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট এবং ইউরোপে চাহিদা কমায় আগামী দুই মাসে পোশাক খাতে রপ্তানি ২০ শতাংশ কমবে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির- (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

রোববার বিজিএমই এর প্রধান কার্যালয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক এবং ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন’ বিষয়ে মিট দ্য প্রেসে এ শঙ্কার কথা বলেন তিনি।

পোশাক শিল্পের সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ফারুক হাসান বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাক শিল্পে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যে কারণে গত অর্থবছরে এ শিল্প খাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত দুই মাসে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ক্রয়াদেশ ধাপে ধাপে কমছে।

‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা বাজারে প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি কমছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস- বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব আমদের পোশাক শিল্পেও পড়েছে। এতে করে শিল্পে ব্যয় বাড়ছে দুইভাবে।

‘বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোতে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে। বেশি সময় জেনারেটর চালানোর কারণে সেগুলো ঘন ঘন বিকল হচ্ছে। এতে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।’

শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখার দাবি তুলে ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। অন্যথায় রপ্তানি আয় ক্রমাগত কমতে থাকবে। এতে নভেম্বর মাসেও রপ্তানি আয় হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা থেকেই যাবে।

‘সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে এনে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বেশি দেয়া যায় কি না সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবার আহবান জানাচ্ছি।’

উৎসে কর নিয়ে বলেন, ‘উৎসে কর যা এ বছরে ১ শতাংশ করা হয়েছে, সেটি পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় একই পর্যায়ে রাখা হোক।’

সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএ ভবনে ‘সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্স অ্যান্ড ওএসএইচ’ সেন্টারের উদ্বোধন করেন ফারুক হাসান।

সেন্টারটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিল্পবের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি এবং অটোমেশন। আমরা এমনভাবে কাজ করতে চাই, যাতে করে আগামী চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জগুলো সুযোগে পরিণত করতে পারি। এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করতে ইনোভেশন সেন্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও সহায়তা দেবে।

‘আমরা যদি শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পারি, স্বচ্ছতা এবং ট্রেসেবিলিটি বাড়াতে পারি এবং ক্রেতাদের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং গ্রিন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারি, শিল্পকে টেকসই করতে পারি, তাহলে আমাদের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

‘শিল্পটি প্রত্যক্ষভাবে আরো ১০ মিলিয়নেরও বেশি এবং পরোক্ষভাবে ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরওয়ার্ড লিংকেজ মিলে আরও ৪০ থেকে ৫০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। ইনোভেশন সেন্টার এই বিষয়গুলোতে আমাদের সহায়তা করবে। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পের জন্য একটি পথনকশা তৈরি করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর