তিন মাসের মধ্যে শেয়ারদর দ্বিগুণে হয়ে যাওয়ার পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও প্রকাশনা খাতের কোম্পানি বসুন্ধরা পেপারের এবার লভ্যাংশ কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও তাদের আয় অনেকটাই বেড়েছে।
শুক্রবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ তারা শেয়ার প্রতি পাবেন এক টাকা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ২ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৫৫ পয়সা বা ২৩ শতাংশ।
আয় বাড়লেও লভ্যাংশ কমানো হয়েছে ২ শতাংশ। গত বছর ১২ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
এই এক বছরে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য লাফ দিয়েছে। পুনর্মূল্যায়ন করার পর প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে গত ৩০ জুন ৭৪ টাকা ৩১ পয়সার সম্পদ দাঁড়িয়েছে। আগের বছর একই সময় শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৪৫ টাকা ৮১ পয়সা।
যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২২ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট সেদিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর।
গত এক বছরে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ারদর দুই বার লাফ গিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিন শেয়ার দর ৪৩ টাকা থেকে ১১ জানুয়ারি হয়ে যায় ৬৮ টাকা। পরে আবার দর হারিয়ে গত ২৮ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন নেমে আসে ৪৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর যেসব কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, তার একটি বসুন্ধরা। তিন মাসে দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে সর্বোচ্চ দর দাঁড়ায় ৯৬ টাকা।
সর্বোচ্চ এই অবস্থান থেকে দর কিছুটা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা। সবশেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ বা সাড়ে সাত টাকা।
এই এক বছরে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন শেয়ারদর ছিল ৪২ টাকা ১০ পয়সা।