বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভ্যাটের বদলে সেবা করের প্রস্তাব

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৩৪

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, পণ্য ছাড় করার ক্ষেত্রে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শিপিং এজেন্টদের নানা হয়রানি করে। এতে একদিকে পণ্য ছাড় করতে বাড়তি সময় লাগে, অন্যদিকে খরচও বাড়ে, যা দেশের ব্যবসা ও উৎপাদনের ব্যয়কেও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের বদলে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স- জিএসটি বা সেবা কর চালুর প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

বুধবার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ প্রস্তাব করেন ফেডারেশন চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তার মতে, এটি চালু হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে, দুর্নীতি কমবে।

জিএসটি ভ্যাটের মতো একটি প্রত্যক্ষ কর। একে পণ্য ও সেবা করও বলে। খুচরা ব্যবসায় পণ্য ও সেবার ওপর এই কর আদায় করা হয় এবং ভোক্তা এই কর দেন।

জিএসটির হার এক বা অভিন্ন। ২০১৭ সালের মার্চে ভারতের সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয় এবং ওই বছর থেকে তা কার্যকর হয়। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জিএসটি চালু রয়েছে।

সভায় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, পণ্য ছাড় করার ক্ষেত্রে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শিপিং এজেন্টদের নানা হয়রানি করে। এতে একদিকে পণ্য ছাড় করতে বাড়তি সময় লাগে, অন্যদিকে খরচও বাড়ে, যা দেশের ব্যবসা ও উৎপাদনের ব্যয়কেও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম বান্দরের টেস্টিং ল্যাবে অপ্রতুল সুবিধার অভিযোগও করেন ব্যবসায়ীরা। জানান, ল্যাবে মাত্র একজন রাসায়নিক পরীক্ষক থাকায় পরীক্ষা কার্যক্রমে দেরি হয়। তা ছাড়া সেখানে সব ধরনের রাসায়নিক পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক সময় সেগুলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। এতে পণ্য খালাসের জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়।

এইচএস কোডের অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে আড়াই শ থেকে তিন শ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করে থাকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

আর শিপিং এজেন্টরা জাহাজ ভাড়ার বাইরে ডকুমেন্ট, সার্ভে, সিকিউরিটি চার্জসহ নানান চার্জ আদায় করে থাকে। এর ফলে প্রায় দৈনিক ১০ কোটি টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, অনভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরাই এইচএস কোড-সংক্রান্ত সমস্যার মূল ভুক্তভোগী। এ জন্য আমদানিকারকদের এইচএস কোড সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সরকারের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করা ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব উল্লেখ করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে রাজস্ব আদায়ে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইর সহসভাপতি আমিন হেলালী ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আমদানি সহজ করতে বন্দর ডিজিটালাইজেশনের আহ্বান জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও এটুপি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসনে নিয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মুক্ত আলোচনায় তুলার কমার্শিয়াল আমদানিকারকদের এলসি মার্জিনের বিধি শিথিল, পণ্য আমদানিতে প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের সংখ্যা কমানো ও মেয়াদ বাড়ানো এবং ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো চালুর দাবি জানান কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক রেজাউল করিম, রাব্বানি জব্বার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আবু মোতালেব, ইকবাল শাহরিয়ার, বজলুর রহমান, খায়রুল হুদা চপল, কমিটির কো-চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আজিজুর রহমান, নাদিমুল হাকিম, সৈয়দ বখতিয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর