খেলাপি ঋণ নিয়ে দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্বস্তিতে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। তাদের বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপি ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বুধবার ব্যাংকটির ২৩ বছর উদযাপন উদ্বোধন করেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল।
তিনি বলেন, ‘শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৯৯ সালে। তারপর থেকে আমরা মানুষের বিশ্বাস, আস্থা ও ভালোবাসায় আজকের অবস্থানে এসেছি। আমাদের ব্যাংক দেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সমৃদ্ধিময় উন্নয়নে আমাদের গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষক, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এবং গণমাধ্যমের সাহায্য, নির্দেশনা ও ভালোবাসা ছাড়া আমরা আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পারতাম না।’
ইকবাল বলেন, ‘প্রিমিয়ার ব্যাংক তরুণ কর্মকর্তাদের নিয়ে সবচেয়ে ভালো করছে। ব্যাংকের প্রত্যেক কর্মকর্তা ব্যাংক সেক্টরে বেস্ট। আমাদের প্রত্যেকটি ব্রাঞ্চ ভালো করছে। সারা দেশে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছি, যেখানে ৪৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করছি। ভবিষ্যতে সারা দেশে সকল প্রতিষ্ঠান আমাদের শিক্ষার্থীরা থাকবে।’
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম. রিয়াজুল করিম বলেন, ‘ব্যাংকের সম্পদ ও আমানতের পোর্টফোলিও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যথাক্রমে ৩৮ হাজার ২৮০ কোটি টাকা এবং ২৯ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এ ডি রেশিও ৭৪ দশমিক ২৬ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৬ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংকের এলসিআর ১২৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ১১৭ দশমিক ২১ শতাংশ, এনএফএসআর ১২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ১২২ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং খেলাপি ঋণের হার ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা ব্যাংকিং খাতে সর্বনিম্ন।’
এমডি বলেন, ‘আমাদের এডি রেশিও, এলসিআর, এনএফএসআর এবং খেলাপি ঋণের হার বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী খুব ভালো অবস্থানে আছে, যা একটি ঈর্ষণীয় সাফল্য। আশা করছি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই ব্যাংকটি সব ধরনের সূচকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি ব্যাংক হয়ে উঠবে।’
ব্যাংকটির উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিগত ২৩ বছরে সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে প্রিমিয়ার ব্যাংক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।’
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বি এইচ হারুন, ইমরান ইকবাল, জামাল জি আহমেদ, নাহিয়ান হারুন, স্বতন্ত্র পরিচালক নব গোপাল বণিক, কায়জার এ চৌধুরী, ব্যাংকের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।