গত বছর ওভার দ্যা কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরার পর শেয়ারদরে লাফ দেয়া তজিমউদ্দিন টেক্সটাইল বিনিয়োগকারীদের গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা গত বছর ছিল ২ টাকা।
স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটির লভ্যাংশের পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারপ্রতি আয়।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৬১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা।
কোম্পানিটির আয়ের মতো সম্পদমূল্যও কিছুটা বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৮৭ টাকা ২ পয়সার সম্পদের তথ্য জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। আগের বছর একই সময় প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৮২ টাকা ৩০ পয়সা।
কোম্পানিটির এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২২ ডিসেম্বর। আগামী ১৪ নভেম্বর যাদের হাতে শেয়ার থাকবে, তারা এই লভ্যাংশের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।
গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯২ থেকে ২৭০ টাকা ছাড়িয়ে ওঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন সোমবার ৫.৫০ শতাংশ বা ১৪ টাকা ৭০ পয়সা কমে দর দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ৬০ পয়সা।
লোকসান, বার্ষিক সাধারণ সভা না করা, ইলেকট্রনিক শেয়ারে ট্রান্সফার না করাসহ নানা কারণে কোম্পানিটিকে ওটিসিতে পাঠানো হয়।
তবে টানা পাঁচ বছর মুনাফায় থাকা, গত দুই অর্থবছরে লভ্যাংশ বিতরণ করায় কোম্পানিটিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনা হয় ২০২১ সালের ১৩ জুন।
শেয়ারদর ১২ টাকা নিয়ে মূল বাজারে লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটি প্রথম দিন থেকেই টানা ১০ শতাংশ বা আশপাশে দর বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। ওই বছরের ১৫ জুলাই ৯০ টাকা দরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার হাতবদল হয়।
এরপর শেয়ারদর ২০০ টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যাওয়ার পর এই দর বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক ধরে এর নেপথ্যে কোনো কারসাজি আছে কি না, সেটি তদন্তে কমিটি গঠনের কথা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এই ঘোষণার পর দর একপর্যায়ে ১২১ টাকায় নেমে আসে। তবে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারদর আবার দেয় লাফ। চলতি বছরের শুরুতে একপর্যায়ে দর ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এরপর গত মে মাসের শেষের দিকে দর আবার ১৭০ টাকার ঘরে নেমে আসে। সম্প্রতি আবার উত্থানে দর ২৭০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।