এখন থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া মাদকদ্রব্য আমদানির জন্য ঋণপত্র বা এলসি না খোলার জন্য ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ নির্দেশনা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে নিয়োজিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে পাঠিয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স,পারমিট, অনাপত্তি বা পূর্বানুমতি ছাড়া মাদকদ্রব্য আমদানির জন্য এলসি ইস্যু না করতে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ, মাদক ১ শাখা হতে জারিকৃত সার্কুলারের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা জারি করেছে।
২১ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) মাধ্যমে আইনের তফসিলভুক্ত মাদকদ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করে বাজারজাত করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে আমদানিকৃত মাদকদ্রব্যসমূহের বিভিন্নভাবে অপব্যবহার হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) এর ১ম তফশিলে “ক” “খ” ও “গ” শ্রেণির মাদকদ্রব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আইনের ৯, ১০ ও ১১ ধারা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ব্যতীত তফশিলে বর্ণিত মাদকদ্রব্য আমদানি, সংরক্ষণ, ব্যবহার, গুদামজাতকরণ, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন ও স্থানান্তরের কোনো সুযোগ নেই।
এই অবস্থায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯, ১০ ও ১১ ধারা অনুযায়ী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স বা পূর্বানুমতি ছাড়া আইনে অন্তর্ভূক্ত ‘ক’ ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণীর মাদকদ্রব্য স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে তফসিলি ব্যাংক হতে এলসি ইস্যু না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্স ছাড়া মাদকদ্রব্যের আমদানিতে এলসি না খোলার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।