বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় কৃষি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান। কৃষির আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণে বিনিয়োগ করতে চায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
ইরানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আগ্রহের কথা জানান। এ সময় ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্ভাবনা থাকার পরও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিনিধিদের যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশে কৃষি খাতের সম্ভাবনা উল্লেখ করে ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, কৃষি খাতের আধুনিকায়ন এবং কৃষি পণ্য বহুমুখীকরণে একযোগে কাজ করতে তার দেশ অত্যন্ত আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাই দেশ দুটির অর্থনীতিকে আরও বেগবান করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। তাই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিরসন করা প্রয়োজন।’
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বার সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ও ইরান ডি-৮ এর সদস্য। সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ, এভিয়েশন প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে দুই দেশ একযোগে কাজ করতে পারে।’
দু-দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সঙ্গে ইরানের চাবাহার বন্দরের সরাসরি জাহাকীকরণ ব্যবস্থা চালুকরণে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার; যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, কাঁচা পাট ও পাটপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, চা, ওষুধ, সিরামিক প্রভৃতি পণ্য বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণ আমদানির জন্য ইরানের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।