চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টম হাউস। রোববার থেকে নগরের আনন্দবাজারে সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে এসব পণ্য ধ্বংসের কথা রয়েছে।
নিউজবাংলাকে শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. মাহফুজ আলম।
তিনি জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা এসব পচনশীল পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস না করায় দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি ‘ধ্বংস কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভায় যাচাই-বাছাই করে ৩৮২ কনটেইনার নিলাম অযোগ্য পচনশীল পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত হয়।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘এই ৩৮২ কনটেইনার এতদিন ১১১ লটে রাখা ছিল। পরিবেশসম্মত উপায়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, বন্দরের তথ্য অনুযায়ী প্রায় সাত হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, যেগুলো নিলাম অযোগ্য। সেখান থেকে আমরা যাচাই-বাছাই করে ধ্বংসের জন্য নির্ধারণ করি।’
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুসফিকুর রহিমকে আহ্বায়ক করে গঠিত ‘ধ্বংস কমিটি’র সদস্য সচিব চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
অন্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বিভাগের মনোনীত একজন সহকারী পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিজিবির সহকারী পরিচালক পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের একজন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একজন প্রতিনিধি।
ধ্বংসের পর বন্দর থেকে এসব কনটেইনার সরিয়ে নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এতে বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে বলে জানান সহকারী কমিশনার মাহফুজ আলম।