জ্বালানি ব্যয় কমাতে ব্যক্তিগত কাজে বিধিবহির্ভূতভাবে অফিসের গাড়ি ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
দেশের সব ব্যাংককে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ব্যয় সংকোচন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার আগের নির্দেশনার কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে।
জ্বালানি ব্যয় কমাতে ব্যক্তিগত কাজে বিধিবহির্ভূতভাবে অফিসের গাড়ি ব্যবহার না করা; প্রয়োজন ছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুতিক বাতি না জ্বালানো; গিজার, বৈদ্যুতিক কেটলি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার না করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, জ্বালানি (পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস ইত্যাদি), ওয়েল ও লুব্রিকেন্টের ব্যবহার ২০ শতাংশ বা ততোধিক কমিয়ে আনতে নেয়া ব্যবস্থা চলমান রাখতে হবে।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, গ্যাস, লুব্রিকেন্ট বাবদ বরাদ্দ করা অর্থের ১০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। আর আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কমাতে হবে আরও ১০ শতাংশ খরচ। তাতে জ্বালানি বাবদ আগামী এক বছরে ব্যাংকগুলোকে ২০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বরাদ্দ করা জ্বালানির অপব্যবহার রোধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ বা ততোধিক কমিয়ে আনতেও কার্যকর ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বলছে, প্রয়োজনের বাইরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুতিক বাতি জ্বালানো ইত্যাদি চিহ্নিত করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আগের নির্দেশনায় বলা হয়, চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ও আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসে আনুপাতিক হারে অর্থাৎ সাড়ে ১২ শতাংশ করে এ খাতে খরচ ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে ব্যাংকগুলো যে অর্থ সাশ্রয় করবে, তা অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না।