বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপিদেরও ফের সুযোগ

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:১২

প্রকৃত আদায় ব্যতিরেকে পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠনকৃত ঋণের বিপরীতে কোনো অর্থ আয় খাতে নেয়া যাবে না। অধিগ্রহণকৃত (টেকওভার) ঋণের ক্ষেত্রে পূর্বের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনঃতফসিল/পুনর্গঠনকে বিবেচনায় নিতে হবে, যা সর্বোচ্চ চারবার হিসাবয়নের ক্ষেত্রে গণনায় নিতে হবে। জাল-জালিয়াতির ঋণ এ নীতিমালার আওতায় পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা যাবে না। গ্রাহকের অস্তিত্ব, ঋণের সদ্ব্যবহার, জামানত ইত্যাদি যাচাই করে নথিতে রাখতে হবে।

ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ শোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা তিনবারে ১৬ বছর মেয়াদি ঋণ পুনঃতফসিল বা পুর্নগঠনের সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি মাত্র ৪ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ঋণ নবায়নের সুযোগও পাবেন গ্রাহকরা।

তবে কোনো গ্রাহক তিনবার ঋণ পুনঃতফসিল করে থাকেন, তবে তাকে বিশেষ বিবেচনায় আরও একবার সুযোগ দেয়া যাবে। চতুর্থ দফা পুনঃতফসিলের পরও গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে স্বভাবজাত বা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে তিনি বিবেচিত হবেন। তার বিরুদ্ধে আইনি (মামলা) ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ‘ঋণ পুনঃতফসিলে’ এ মাস্টার সার্কুলার জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঋণ পুনঃতফসিলে ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে বকেয়া ঋণ স্থিতির ৪ শতাংশ বা মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির যথাক্রমে ৭ শতাংশ বা যে অঙ্ক কম। আগে ছিল ১৫ শতাংশ।

পুনঃতফসিলকৃত ঋণ পরিশোধে সময় দেয়া হয়েছে ছয় বছর। দ্বিতীয় দফায় পুনঃতফসিলে গ্রাহককে গুনতে হবে মোট ঋণের ৫ শতাংশ বা বকেয়া কিস্তির ৮ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, এর আগে যা ছিল ২০ শতাংশ। আর এ জন্য পাঁচ বছর সময় পাবেন গ্রাহক।

তৃতীয় ও সর্বশেষ বারের জন্য রাখা হয়েছে ৬ শতাংশে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ। অথবা বকেয়া কিস্তির ৯ শতাংশ, পূর্বে যা ছিল ঋণের ৫০ শতাংশ।

তৃতীয়বার পুনঃতফসিল করেও সেই ঋণ শোধ করার জন্য আরও পাঁচ বছর সময় পাবেন গ্রাহক। সুতরাং তিনবার পুনঃতফসিল করলে সামষ্টিকভাবে ১৬ বছর সময় পাবেন বকেয়া ঋণ পরিশোধের জন্য।

এতে আরও বলা হয়, কোনো গ্রাহক চতুর্থ দফা পুনঃতফসিলের পরও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর আগের মাস্টার সার্কুলারে চতুর্থবার ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ ছিল না। কিন্তু প্রস্তাবিত মাস্টার সার্কুলারে চতুর্থবার ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ রাখা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রকৃত আদায় ব্যতিরেকে পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠনকৃত ঋণের বিপরীতে কোনো অর্থ আয় খাতে নেয়া যাবে না। অধিগ্রহণকৃত (টেকওভার) ঋণের ক্ষেত্রে পূর্বের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনঃতফসিল/পুনর্গঠনকে বিবেচনায় নিতে হবে, যা সর্বোচ্চ চারবার হিসাবয়নের ক্ষেত্রে গণনায় নিতে হবে। জাল-জালিয়াতির ঋণ এ নীতিমালার আওতায় পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা যাবে না। গ্রাহকের অস্তিত্ব, ঋণের সদ্ব্যবহার, জামানত ইত্যাদি যাচাই করে নথিতে রাখতে হবে।

একইভাবে পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করার জন্য নির্দিষ্ট ছকে তথ্য নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনের সুবিধার্থে নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে।

পুনঃতফসিল করার সময় কস্ট অফ ফান্ড কাভার না করে কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনকালে নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে পুনঃতফসিল হলে পরিদর্শন দল তা বাতিল করতে পারবে।

এ বিভাগের আরো খবর