বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের গুজব, তবে ফ্লোর প্রাইস তুলছে না বিএসইসি

  • ফারহান ফেরদৌস, ঢাকা   
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:২০

দেশের পুঁজিবাজার ভালো করছে। এর মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হবে। এ তথ্যটি সঠিক নয়। আমরা ফ্লোর প্রাইস তুলে দিচ্ছি না। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

দীর্ঘ প্রায় এক বছরের মন্দা কাটিয়ে পুঁজিবাজার উত্থানের ধারায় ফিরলেও গুজব পিছু ছাড়ছে না। শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হচ্ছে, এমন তথ্যে রোববার বড় উত্থান থেকে পতনে শেষ হয় লেনদেন।

অথচ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, এ নিয়ে তারা এখন কোনো চিন্তাই করছেন না।

রোববার লেনদেনের অর্ধেক সময় পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত দরপতনের পেছনে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার গুঞ্জন দায়ী হতে পারে।

এই গুঞ্জন এর আগেও ছড়িয়েছিল, যে কারণে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে গণনা করতে এক যুগের দাবি পূরণের পরও বাজার পড়ছিল।

এই অবস্থায় ১১ আগস্ট বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারে কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।

সেই বিজ্ঞপ্তি আসার পরের কর্মদিবস ১৪ আগস্ট থেকে যে উত্থান দেখা দেয়, তাতে রোববারের আগে ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে কেবল এক দিন সূচক পড়েছিল। ২৪ আগস্ট ৩৫ পয়েন্ট সূচকের পতন যে একটি সাধারণ সংশোধন, তা পরের দিনই স্পষ্ট হয়।

রোববার সূচক এক পর্যায়ে গত ১১ মের অবস্থানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ তৈরি হয়। তবে এরপর থেকে টানা কমতে থাকে তা

এরপর আবার টানা ছয় কর্মদিবস সূচক কেবল বাড়েনি, এই সময়ে লেনদেনও হয় বিপুল। প্রতিদিনই হাতবদল হয় পৌনে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। তিন দিন লেনদেন হয় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এর মধ্যে রোববার পুঁজিবাজার যখন গত ১২ মের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে যায়, সেখান থেকে হঠাৎ করেই উল্টো দৌড় শুরু হয়।

তখনই প্রশ্ন ওঠে, সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ১০৫ পয়েন্ট কমে গিয়ে লেনদেন শেষ হওয়ার কী এমন কারণ।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজার ভালো করছে। এর মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হবে। এ তথ্যটি সঠিক নয়। আমরা ফ্লোর প্রাইস তুলে দিচ্ছি না। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকবে।’

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়। পরে বাজার ঊর্ধ্বগতিতে ফিরলে ধাপে ধাপে তা তুলে দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত তখন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।

তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে দর সংশোধন শুরু হওয়ার পর নানা ইস্যুতে যখন ক্রমাগত পতন হচ্ছিল, সে সময় ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেন যুদ্ধ পুঁজিবাজারে তৈরি করে ধস।

বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ক্রমাগত নিচের দিকে নামতে থাকা পুঁজিবাজার একপর্যায়ে ২৮ জুলাই নেমে যায় ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে।

সেদিনই দ্বিতীয় বার দেয়া হয় ফ্লোর প্রাইস। পর দিন থেকেই শুরু হয় উত্থান পর্ব।

এরপর ২৩ কর্মদিবসের সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫০৯ পয়েন্ট। এই এক মাসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৩৪ কোটির ঘরে। তিন দিন লেনদেন হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে। গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে রোববার।

এ বিভাগের আরো খবর