বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজার ছুটছেই, ঘুমিয়ে ব্যাংক খাত

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:৪০

সবচেয়ে কম পিই রেশিওর সাউথইস্ট ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস ১৩ টাকা ৮০ পয়সাতেই লেনদেন হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা মার্কেন্টাইলের শেয়ারদর এখন ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। এর ফ্লোর প্রাইস ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। তৃতীয় স্থানে থাকা যমুনা ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস ২১ টাকা ৩০ টাকা আর শেয়ারদর ২১ টাকা ৯০ পয়সা।

টানা বাড়তে থাকা পুঁজিবাজারে উত্থান পর্ব এক মাস ছাড়িয়ে গেল। এই কয়দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বাড়ল মোট ৫২৮ পয়েন্ট। তবে পুঁজিবাজারে এই সুসময়েও ঘুমিয়ে ব্যাংক খাত, যদিও এই খাতের সার্বিক চিত্র আশা জাগানিয়া।

এই খাতে না বাড়লে শেয়ারদর, না আগ্রহ দেখা যাচ্ছে শেয়ার কেনায়।

বৃহস্পতিবার ৫১ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গত ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে বাড়ল ১২ দিন। গত ২৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া উত্থান পর্বে ২২ কর্মদিবসের মধ্যে সব মিলিয়ে বাড়ল ১৭ দিন।

সূচকের অবস্থান এখন ৬ হাজার ৫০৮ পয়েন্ট, যা গত ১২ মের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৫৬৫ পয়েন্ট।

ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, ডলারে বিপরীতে টাকার দরপতনসহ নানা ইস্যুতে পুঁজিবাজার গত ২৮ জুলাই ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর দিন থেকে শুরু হয় উত্থান।

এই উত্থানের পেছনে প্রধাব ভূমিকায় ছিল ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, সাধারণ ও জীবন বিমা, বস্ত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্য এবং বিবিধি খাতের কোম্পানিগুলো।

তবে শেয়ারদরের বিবেচনায় প্রতি বছর দারুণ লভ্যাংশ এবং কোম্পানিগুলোর মূল্য আয় অনুপাত আকর্ষণীয় অবস্থানে থাকলেও বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ারে ঝুঁকছেনই না।

বৃগস্পতিবার তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। তবে যেসব কোম্পানির দর বেড়েছে তার মধ্যে ১২টিরই দর বেড়েছে কেবল ১০ পয়সা। অথচ এদিন একটি কোম্পানির দর ১০ শতাংশ, ৪টির ৯ শতাংশ, ৭টির ৮ শতাংশ, ৫টির ৬ ও ৫ শতাংশ করে, ৮টির ৪ শতাংশ, ৯টির দর বেড়েছে ৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের চিত্র

এদিন সব মিলিয়ে বেড়েছে ১৭২টির দর, কমেছে ১৩১টির আর আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ৭৮টি।

সূচক বাড়লেও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। দিন শেষে হাতবদল হওয়া শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় এক হাজার ৮৮৯ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছাড়িয়েছিল দুই হাজার কোটি টাকার ঘর।

এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন লেনদেন হলো পৌনে দুই হাজার কোটির বেশি।

খাতভিত্তিক লেনদেনের দিক দিয়ে এদিন সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। টানা শীর্ষে থাকা বস্ত্র থাকে লেনদেন এক দিনই কমেছে এ শ কোটি টাকার বেশি। তারপরও আড়াই শ কোটি টাকার বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

দুই শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিধ এবং প্রকৌশল খাতেও।

ছোট খাত হলেও শত কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে সেবা ও আবাসনে। এক শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে। শত কোটি ছুঁই ছুঁই লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিকে। ব্যাংক খাতে হাতবদল হয়েছে ৭০ কোটি টাকারও কম।

পুঁজিবাজারে চাঙাভাবের মধ্যেও ব্যাংক খাতে অনাগ্রহের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘সার্বিকভাবে বাজার ভালো। এর কারণ বিভিন্ন দিক থেকে বিনিয়োগ হচ্ছে, বাজার ভালো রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে সব পক্ষ থেকেই।

‘যেসব সেক্টরে বেশি গেইন হচ্ছে সেসব সেক্টরেই বিনিয়োগ বেশি হচ্ছে। ব্যাংকের দিকে আগ্রহ কম। কারণ, ব্যাংক নিয়ে মানুষের ধারণা নেতিবাচক। তবে ট্রানজেকশন দুই হাজার পার হতে থাকলে সব খাতেই আগ্রহ বাড়বে।’

সব দিক দিয়ে আকর্ষণীয়, তবে নেই আগ্রহ

ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত আছে মোট ৩৩টি ব্যাংক। এর মধ্যে গত বছর দুটি ছাড়া বাকি সবগুলো লভ্যাংশ দিয়েছে। চলতি বছর অর্ধবার্ষিকের প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী ৩২টি কোম্পানিই মুনাফায় আছে।

গত কয়েক বছর ধরেই মুনাফা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ব্যাংক খাতে। এর মধ্যে চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে ১৮টি ব্যাংক মুনাফা আরও বাড়াতে পেরেছে। দুটি ব্যাংকের মুনাফা একই আছে। আর কমেছে বাকি ১৩টির।

মূল্য আয়ের অনুপাত বা পিই রেশিও বিবেচনায় নিলে বোঝা যায় ব্যাংকের শেয়ারদর অন্যগুলোর তুলনায় কতটা কম। পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির শেয়ারদরকে তার আয় দিয়ে ভাগ করলে এই অনুপাত পাওয়া যায়। অর্থাৎ যে হারে আয় করছে, সেটি বজায় থাকলে বর্তমান শেয়ারদর উঠে আসতে কত সময় লাগবে।

পুঁজিবাজারে পি ই রেশিও সাধারণত ১০ থেকে ১৫ কে আকর্ষণীয় বিবেচনা করা হয়। তবে ব্যাংক খাতে তা অনেকটাই কম। পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে কম সাউথইস্ট ব্যাংকের ২.৭। এছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকে এই অনুপাত ৩.২৯, যমুনা ব্যাংকে ৩.৬, শাহজালাল ব্যাংকে ৪.০৪, প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৪.৪২ এবং এক্সিম ব্যাংকে ৪.৭৪।

৬ এর নিচে অনুপাত আছে যেগুলোর, সেগুলো হলো: ব্যাংক এশিয়ায় ৫.০৫, এনসিসি ব্যাংকে ৫.৩, উত্তরা ব্যাংকে ৫.৩৫, ঢাকা ব্যাংকে ৫.৩৮, সিটি ব্যাংকে ৫.৫৬, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ৫.৫৭, ওয়ান ব্যাংকে ৫.৭১ এবং পূবালী ব্যাংকে ৫.৯৫।

৭ এর নিচে আছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ৬.০৩ করে এবং প্রাইম ব্যাংকের ৬.১৯।

পিই রেশিও ১০ এর নিচে যেসব ব্যাংকে, তার মধ্যে ইউসিবির আছে ৭.১৮ ইস্টার্ন ব্যাংকেক ৭.৩১, ট্রাস্ট ব্যাংকে ৭.৮৬, ইসলামী ব্যাংকে ৭.৮৮ এবং ডাচ্-বাংলায় ৯.০৮।

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে পিই রেশিও ১০.১৭, এনআরবিসিতে ১১.৪৭, এবি ব্যাংকে ১২.৫, আইএফআইসি ব্যাংকে ১২.৭৯, এসআইবিএলে ১২.৯৬ এবং ব্র্যাক ব্যাংক ১৩.১৩।

১৫ এর বেশি পিই রেশিও কেবল চারটি ব্যাংকের। এর মধ্যে সাউথবাংলা ব্যাংকের ১৭.০৩, স্ট্যান্ডার্ড ২৯.৩৩, রূপালী ব্যাংকের ৪৬.৭২। আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পিই রেশিও ১৩৫ থাকাটাও উৎসাহ ব্যাঞ্জক এই কারণে যে, এই ব্যাংকটি প্রথমবারের মতো দুটি প্রান্তিক মিলিয়ে লোকসান থেকে বেরিয়ে এসেছে।

অন্যদিকে অর্ধবার্ষিকে শেয়ার প্রতি ৫৪ পয়সা লোকসান দেয়া এনবিএলের কোনো পিই রেশিও নেই।

তবে শেয়ারদরে ব্যাংকের আয়, লভ্যাংশ, পিই রেশিও তার কোনো কিছুরই প্রভাব নেই। বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারদর তার বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসের আসেপাশে আছে।

সবচেয়ে কম পিই রেশিওর সাউথইস্ট ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস ১৩ টাকা ৮০ পয়সাতেই লেনদেন হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে।

পিই রেশিওর দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা মার্কেন্টাইলের শেয়ারদর এখন ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। এর ফ্লোর প্রাইস ১৩ টাকা ৬০ পয়সা।

পিই রেশিওর দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা যমুনা ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস ২১ টাকা ৩০ টাকা আর শেয়ারদর ২১ টাকা ৯০ পয়সা।

কেবল চলতি বছরের হিসাব নয়, গত কয়েক বছরে ব্যাংকগুলোর শেয়ারদরের বিবেচনায় লভ্যাংশ এত ভালো ছিল যে, ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে শেয়ার কিনে রেখেই বেশি লাভবান হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

এত কিছুর পরও উত্থানের এক মাসে সর্বাধিক লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতের কোনো কোম্পানিকে দেখা যায়নি বললেই চলে।

সূচক বাড়াল যারা

সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। শেয়ারটির দর ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর বেড়েছে।

গ্রামীণফোনের দর শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৯ পয়েন্ট।

বেক্সিমকো ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ ছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, জেএমআই হসপিটাল, বিকন ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং ও আরএকে সিরামিকস সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৭ দশমিক ০৫ পয়েন্ট।

বিপরীতে কোনো কোম্পানি এককভাবে এক পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি।

সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৯৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো সুকুকের কারণে। বন্ডটির ইউনিট প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ডেল্টা লাইফের দর ১ দশমিক ০৭ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৩৭ পয়েন্ট।

এ ছাড়া নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ন্যাশনাল টি, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, আমান ফিড, ওরিয়ন ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক ও রিং শাইনের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে জেএমআই হসপিটালের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৮৪ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৭৭ টাকায়।

ইস্টার্ন হাউজিং ছিল তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ২৮ জুলাই থেকে দর বাড়ছেই শেয়ারটির। ওই দিন ৫২ টাকায় লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ারের দর আজ ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১০১ টাকা ৪০ পয়সায়।

৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৬৬ টাকা ২০ পয়সায়।

আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৬০ টাকা ২০ পয়সা।

এ ছাড়া দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে- মেট্রো স্পিনিং, আএসআরএম স্টিল, মনোস্পুল, জেমিনি সি ফুড, সোনালী আঁশ, পেপার প্রসেসিং এবং কোহিনূর কেমিক্যালস।

দর পতনের শীর্ষ ১০

দরপতনের শীর্ষে রয়েছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। শেয়ারটির দর ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৪১ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়।

নাহি অ্যালুমিনিয়াম দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণে ২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নতুন ৫টি পণ্য উৎপাদনের ঘোষণা দেয় কোম্পানি। ইতিবাচক খবরের পরেও শেয়ারটির দর ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৭২ টাকা ৩০ পয়সায়।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে নূরানী ডায়িং। ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।

দর কমার শীর্ষ দশে ছিল ন্যাশনাল টি, আমান ফিড, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ডেল্টা স্পিনার্স, কুইন সাউথ টেক্সটাইল ও ফার কেমিক্যালস।

এ বিভাগের আরো খবর