বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ব্যক্তি খাতে তেল আমদানির অনুমতি দেয়া যেতে পারে’

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২২ ২০:২৫

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর এক সাক্ষাৎকারে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার এখন নিজে তেলের দাম ঠিক করে দেয়। এখান থেকে বের হতে হবে। সরকারের উচিত হবে, দাম নির্ধারণের পদ্ধতি থেকে বের হয়ে বাজারমূল্যের ভিত্তিতে দাম ঠিক করা।’

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি মনে করেন, জ্বালানি তেলের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য ব্যক্তি খাতকে তেল আমদানির অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

নিউজবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দাম বাড়ার ফলে স্বল্পমেয়াদে প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে। এর ফলে বাড়বে জনগণের কষ্ট। এ ছাড়া পরিবহন ও কৃষি খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। দাম বাড়ানোর বিষয়টি সরকার অনেক দিন ঠেকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।

তবে আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এ দাম বাড়ানোর ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এর ফলে বাজেট ঘাটতি কমবে, কমে আসবে ভর্তুকির চাপ। এই চাপ কমাতে হলে সরকারকে হয়তো বিদ্যুতের দামও বাড়াতে হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘মধ্যমেয়াদে এর ফলে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকেও তা সাপোর্ট করবে। তেলের চাহিদা কমবে। ফলে সরকারের তেল ক্রয়ের সক্ষমতা বাড়বে।

‘দীর্ঘমেয়াদে সরকারের উচিত হবে তেলের মূল্য বাজারভিত্তিক করা। এটাকে বলা হয় ‘‘মার্কেট বেইস প্রাইস মেকানিজম”।

‘বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশের ভেতরে কমাতে হবে। আর দাম বাড়লে বাংলাদেশেও বাড়াতে হবে। পৃথিবীর সব দেশ যেভাবে চলছে, আমাদেরও সেভাবেই চলতে হবে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সরকার এখন নিজে তেলের দাম ঠিক করে দেয়। এখান থেকে বের হতে হবে। সরকারের উচিত হবে, দাম নির্ধারণের পদ্ধতি থেকে বের হয়ে বাজারমূল্যের ভিত্তিতে দাম ঠিক করা। প্রয়োজনে ব্যক্তি খাতকে জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি দেয়া যেতে পারে। তা হলে প্রতিযোগিতা বাড়বে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমি মনে করি, এক লাফে এত বেশি দাম বাড়নো ঠিক হয়নি। আগে থেকে ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত ছিল। যখন বিশ্ববাজারে দাম বাড়তে শুরু করে, তখন থেকে অল্প অল্প করে দাম বাড়ালে এত প্রভাব পড়ত না।’

দাম বাড়ানোর ফলে বিপিসির লোকসান কতটকু কমবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লোকসান অনেকখানি কমে আসবে। আমি যতটুক জানি, আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের যে দাম, তাতে বিপিসির প্রতি লিটারে খরচ পড়ে ১৪০ টাকা, যা এখন করা হয়েছে ১১৪ টাকা। তার মানে ৩৪ টাকার দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে লিটারে ২৬ টাকা।’

এত বেশি দাম বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘মূল্যস্ফতি বাড়বে ২ থেকে ৩ শতাংশ। বাড়বে উৎপাদন খরচ। ফলে ভোক্তার চাহিদা কমবে।’

ভোক্তার চাহিদা কমলে অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই হবে। এখন তো পৃথিবীর সব দেশেই অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়।’

জনগণের দুর্ভোগ কতটা বাড়বে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘জনগণকে সব ক্ষেত্রে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। দেয়ার ইজ নো ফ্রি লাঞ্চ।’

এ বিভাগের আরো খবর