জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর বাসের ভাড়া সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পরিবহন মালিকরা।
বিআরটিএ কার্যালয়ে শনিবার বিকেল ৫টায় এ বৈঠক শুরু হবে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিবহনে ভাড়া সমন্বয়ের সভা হবে। পরিবহন নেতা ও সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে অংশ নেবেন।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘বিকাল ৫টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
‘এর আগে আমরা ভাড়া সমন্বয়ের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। সমন্বয় কমিটি ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
বৈঠকে বাসভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। এ নিয়ে বিকাশ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থা করোনার সময় থেকেই খারাপ। এখন তেলের দাম বাড়ছে। বাস ভাড়াতো বাড়ে নাই।
‘আমরা আজকে লস দিয়েই গাড়ি চালাচ্ছি। অনেকে বন্ধ রাখার কথা বলেছে। বন্ধ রেখেছেও। আমাদের গাড়িগুলো আজকে চলছে। কিন্তু কয়দিন এভাবে লস দিয়ে চালাতে পারব জানি না।’
তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সমন্বয় করে বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘আমাদের যে হারে খরচ বাড়ছে, সে হারে ভাড়া বাড়েনি। বাড়তি খরচে গাড়ি চালিয়ে আবার আমাদের নিতে হচ্ছে হাফ ভাড়া।
‘সবকিছু আমাদের ওপর চাপিয়ে দিলে তো ব্যবসা করতে পারব না। লাভ তো দূরের কথা; খরচই উঠবে না।’
প্রেক্ষাপট
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার সন্ধ্যার প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়।
অন্যদিকে অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে।
এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের বর্ধিত এ দাম কার্যকর হয় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। এর আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানি তেল নিতে পেট্রল পাম্পে ভিড় জমান গাড়িচালকরা, তবে অনেক জায়গায় বন্ধ করে দেয়া হয় পেট্রল পাম্প।