ডলার কেনা-বেচায় অনিয়মের দায়ে আরও দুই মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পাশাপাশি লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় নয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনরোধ করেছে।
গতকাল সোমবার একই অভিযোগে তিন মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ডলারের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল এ পর্যন্ত ৮০টি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শোকজ করা হয়। আর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। এর মধ্যে আগে তিনটি আর মঙ্গলবার আরও দুইটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।’
মুখপাত্র জানান, লাইসেন্স ছাড়া নয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে বেরিয়ে এসেছে।
ডিএমপির মাধ্যমে সেগুলো সিলগালা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ হিসেবে ব্যাংক বলছে, যাদের লাইসেন্স নেই তাদের দেখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলার বেচাকেনায় কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
২৩৫টি মানি চেঞ্জার বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিলেও বাজারে ৭০০ বেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে৷ এদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, তাদের ধরার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।’
কী ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডলার সেল করেছে কিন্তু এন্ট্রি করেনি। ডলার বিষয় জানতে চাইলে যথাযথ উত্তর পাওয়া যায়নি, মাত্রাতিরিক্ত টাকা পাওয়া গেছে এসব বিভিন্ন অনিয়ম বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রপ্তানির থেকে আমদানি বেশি হয়। ৮০ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন। এ জন্য আমদানি কমাতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। ফলে আমদানির হার কমে এসেছে।’