বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্থির ডলার বাজার: এবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে অভিযান

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২২ ২০:০২

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয়- এমন সব প্রতিষ্ঠানে হুন্ডি বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় ডলার কেনাবেচা হচ্ছে কি না তা দেখবে পরিদর্শন টিম। অনিয়ম পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক, মানি এক্সচেঞ্জ হাউস ও খোলাবাজার পরিদর্শন শুরু হয়েছে আগেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার অনলাইনে ফরেক্স ট্রেডিং বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয়- এমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অভিযান শুরু করেছে।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি পরিদর্শন টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয়- এমন সব প্রতিষ্ঠানে হুন্ডি বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় ডলার কেনাবেচা হচ্ছে কি না তা দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার বা ব্যাংক রেটের চেয়ে অনেক বেশি দামে ডলার কেনাবেচা নিয়ে শোরগোল চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কেবলই কমছে। এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ।

আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের জন্য খরচ করতে হয়েছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। তবে সব ব্যাংকেই নগদ ডলারের দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কোনো ব্যাংক ১০৫-১০৮ টাকায় বিক্রি করছে।

কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে মঙ্গলবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১১২ টাকায় বেচাকেনা হয় ডলার।

বুধবার দিনের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত শুরু করলে বাজারের পরিস্থিতি পাল্টে যায়। মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে হিসাবের বাইরে খোলাবাজারের মতো আগে ডলার বেচাকেনা হতো। সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলার বেচাকেনায় অনিয়ম পেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি তদারকি দল মার্কেটে পরিদর্শন করে কিছু তথ্য পেয়েছে। দেখা গেছে, যাদের লাইসেন্স আছে তারা ছাড়াও অনেকে ডলার কেনাবেচনার সঙ্গে জড়িত। যারা এমন ব্যত্যয় ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাদের লাইসেন্স দিয়েছে সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ডলার কেনাবেচা করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিলগালা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অপরাধের ধরন অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর