বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সয়াবিন তেলের দাম কমছে লিটারে ১৪ টাকা

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২২ ২০:১৯

গত ২৬ জুন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা করা হয়েছিল। তবে সরকার দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর দীর্ঘ দিন ধরেই আগের দাম লিটারে ২০৫ টাকা দরে কিনতে বাধ্য হয় ক্রেতারা।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার প্রভাবে দেশেও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১৪ টাকা কমানো হচ্ছে। এ নিয়ে গত এক মাসে দাম কমবে ২০ টাকা।

সোমবার বা যে কোনো সময় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ ভোজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনষ্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এই হারে তেলের দাম কমানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।

রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং ভোজ্যতেলের আমদানি, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানির মালিক-প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সর্বসম্মতভাবে তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৯৯ টাকা। সেটি কমে হবে ১৮৫ টাকা।

খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করে আরও কম দামে, লিটারে ১৬৬ টাকা করে। অনুরূপভাবে প্রতি লিটার পাম অয়েলের নতুন দাম হবে ১৪৮ টাকা।

বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১৮০ টাকা করে। পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৫৪ টাকা করে।

অর্থাৎ বোতলজাত তেলের তুলনায় কম হারে কমবে খোলা তেলের দাম।

গত ২৬ জুন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা করা হয়েছিল। তবে সরকার দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর দীর্ঘ দিন ধরেই আগের দাম লিটারে ২০৫ টাকা দরে কিনতে বাধ্য হয় ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এই তেল তাদের আগের কেনা, নতুন চালানা না আসা পর্যন্ত দাম কমানো যাবে না। অথচ যখন দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়িয়ে দেয়া হয়।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর থেকে ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থির হয়ে উঠে। এক বছরেরও কম সময়ে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ে দেশে দেশে।

২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১ হাজার ৩৮৫ ডলার। চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৫৬ ডলার। সে সময় প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হিসাবে লিটারপ্রতি দর দাঁড়ায় ১৫৩ টাকা।

এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণার দিন সব শেষ তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেদিন লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয় লিটারে ২০৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৮৫ টাকা।

তেল নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নিম্নমুখি হতে থাকে।

গত বৃহস্পতিবার এই দর নেমে আসে টনপ্রতি ১ হাজার ৩১৮ ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ডলারের দরে (৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা) লিটারপ্রতি দর দাঁড়ায় ১১৩ টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে জাহাজ ভাড়া, পরিশোধন, বোতলজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, আনুষঙ্গিত ব্যয় ও মুনাফা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিকবাজারে দাম কমার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দেশে তেলের দাম আরও কমানো হবে।’

তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জতিক বাজারে দাম যতটা কমেছে, দেশের বাজারে ততটা কমানো সম্ভব নয় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে। কয়েক মাস আগেও ডলারের দাম ৮৬ টাকা ধরে ঋণপত্র খোলা যেত। এখন সেটি ৯৪ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই হিসাবে টাকার দরপতনের কারণে আমদানিতে ১০ শতাংশের বেশি দাম পড়ে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর