ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগ ‘অপরাজেয় আমি’ এর অংশ হিসেবে ও বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিসঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিডিডিএন)-এর সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য একটি জব ফেয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এই চাকরি মেলাটি প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য মেধা ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে এক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ মেলায় ৬০০ -এরও বেশি নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী এবং ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিলো ম্যানুফ্যাকচারিং, রিটেইল, ব্যাংকিং, আইসিটি, টেক্সটাইল ও উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বার্জার পেইন্টস, উর্মি গ্রুপ, টিম গ্রুপ, শিন শিন গ্রুপ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, এ সি আই লজিস্টিকস (স্বপ্ন), এম. এম. ইস্পাহানি, ব্র্যাক ব্যাংক, বি-স্ক্যানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে নিজ নিজ নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন চাকরিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধীব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন: “সত্যিকারের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পায়। এই ধরনের জব ফেয়ার আমাদের দেখিয়ে দেয় কিভাবে সরকার, বেসরকারি খাত ও সহযোগী সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে অন্তর্ভুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।”
ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আবদুল মোমেন বলেন: “ব্র্যাক ব্যাংক শুধুমাত্র আর্থিক সেবাই নয়, কর্মসংস্থানের মতো শক্তিশালী সুযোগ সৃষ্টিতেও বিশ্বাস করে। কর্মসংস্থানই মর্যাদা, ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার অন্যতম মাধ্যম। এই মেলার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য প্রতিভা ও কর্মসংস্থানের এক অনন্য সমন্বয় হয়েছে।”
বিডিডিএন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির বলেন: “এই জব ফেয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার একটি বাস্তব অগ্রগতি। প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য দরজা খুলে দিয়ে আমরা শুধু তাঁদেরকেই নয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও উন্মোচন করছি।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিডিএন বোর্ড সদস্য ও বিইএফ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিগনেট ম্যাক্স টুনিয়ন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন, যারা অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার তৈরির এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৮৫টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।