বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউরোকে ছুঁয়ে ফেলল ডলার

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২২ ১৯:১৩

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে এখন এক ডলারের বিনিময়ে ঠিক এক ইউরো মিলেছে। বাংলাদেশে বুধবার প্রতি ডলার কিনতে লেগেছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এক ইউরোর জন্য খরচ করতে হয়েছে ৯৩ টাকা ৭৮ পয়সা।

প্রায় দুই দশক পর প্রথমবার ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ইউরোকে ছুঁয়ে ফেলল যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার। ডলার আর ইউরোর মান এখন সমান।

বুধবার বাংলাদেশের আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে লেগেছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এক ইউরোর জন্য খরচ করতে হয়েছে ৯৩ টাকা ৭৮ পয়সা।

বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ইউরো আর ডলারের মান সমান হয়ে গেছে বলে সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ইউরো প্রবর্তিত হয় ১৯৯৯ সালে। সেই হিসাবে ইউরোর ২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটল—মার্কিন ডলার ও ইউরোর মান সমান হয়ে গেল।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে এখন এক ডলারের বিনিময়ে ঠিক এক ইউরো মিলেছে। অর্থাৎ এ বছর ইউরোর দরপতন হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ইউরোপ, আমেরিকাসহ সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতির সূচক রেকর্ড ছুঁয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার হ্রাস করেছে। এই বাস্তবতায় ইউরোপসহ আমেরিকায় চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইউরো আর ডলার সমান হয়ে গেল।

যুদ্ধের আগে ইউরোপের ৪০ শতাংশ গ্যাস আসত রাশিয়া থেকে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার কারণে ইউরোপ রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাসের চেষ্টা করছে তারা। এর জবাবে রাশিয়াও ইউরোপের অনেক দেশে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস করেছে। ফলে উৎপাদন সংকটে পড়েছে ইউরোপ।

তবে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ এ পর্যন্ত নীতি সুদহার ৭৫ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। সে কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে আমেরিকায় বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। ফলে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।

এদিকে শুধু ইউরো নয়, এ কারণে গোটা এশিয়াতেই স্থানীয় মুদ্রা এখন দুর্বল। চীনের ইউয়ান, জাপানের ইয়েনসহ সব দেশের মুদ্রারই পতন ঘটছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মুদ্রারও পতন হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক বছরে আমেরিকান ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।

২০২১ সালের ৬ জুলাই প্রতি ডলারের জন্য খরচ করতে হয়েছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার লেগেছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা।

বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম যেভাবে স্থির হয়, সেই চাহিদা আর জোগানের অঙ্ক মেনেই বিদেশি মুদ্রার সাপেক্ষে দেশীয় মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়। বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন হয় বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজে। বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের একক আধিপত্যের কারণে ডলার এগিয়ে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর