বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরাসরি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান এমএলএসএসরা

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২২ ২১:৫৬

গভর্নরকে লেখা চিঠিতে এমএলএসএসরা বলেছেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালায় বলা আছে- কর্মচারী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সরাসরি সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে সেবা ক্রয়ের চুক্তি করতে পারবে। আমরা সেই নীতিমালা অনুযায়ী গভর্নরের কাছে মানবিক আবেদন করছি যেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের সরাসরি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের অরনেট কোম্পানির মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে এমএলএসএস পদে কর্মরতরা সরাসরি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান। রোববার গভর্নর বরাবর চিঠি দিয়ে তারা এ দাবি জানান।

চিঠিতে বলা হয়, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০১৮তে বলা আছে- কর্মচারী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সরাসরি সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে সেবা ক্রয়ের চুক্তি করতে পারবে। আমরা সেই নীতিমালা অনুযায়ী গভর্নরের কাছে মানবিক আবেদন করছি যেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের সরাসরি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা অনেকেই বিগত ২০০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে সততার সঙ্গে কাজ করে আসছি। তবে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

‘আগে আমরা দুটি ঈদ বোনাস ও নববর্ষ ভাতা পেতাম। বর্তমানে এগুলো থেকেও আমরা বঞ্চিত। কিন্তু আমাদের পরিবারকেও বিশ্বাস করাতে পারি না, আমাদের বোনাস-ভাতা দেওয়া হয় না।

‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ নীতিমালা অনুসারে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ক্যাটাগরি-১-এর মাসিক সেবা মূল্য ১৯ হাজার ১১০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। তবে বর্তমানে এমএলএসএস পদে আমাদের মাসে ১৭ হাজার ৬১০ টাকা দেয়া হয়। যদিও ২০১৮ নীতিমালায় এমএলএসএস পদ উল্লেখ নেই।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তাকর্মী, পরিছন্নতাকর্মী ও অফিস সহায়কদের বেতন বিভাগীয় শহরে ন্যূনতম ২৪ হাজার টাকা এবং জেলা শহরে ন্যূনতম ২১ হাজার টাকা হবে। এবং এর সঙ্গে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মরতদের সমন্বয় করা হবে। কিন্তু সব ব্যাংক এপ্রিল থেকে কার্যকর করলেও আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থেকে এমন সুবিধা পাচ্ছি না।’

চিঠিতে সর্বশেষে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভালোবাসা ও মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছি। আমরা যাতে বাকি জীবন এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে পারি, সে জন্য আপনি (গভর্নর) আমাদের একটি সুব্যবস্থা করে দিতে পারেন।’

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক এমএলএসএস বলেন, ‘দেশের বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে পারছি না। আমাদের ঋণের পাল্লা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছি। ছেলেমেয়েদের ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাতে পারছি না। গভর্নর মহোদয় আমাদের দিকে তাকালে দুঃখের জীবনে কষ্ট কিছুটা কমবে।’

আরেক এমএলএসএস কর্মচারী বলেন, আমাদের মধ্যে নতুন যে যোগদান করছে তার বেতনও ১৭ হাজার ৬১০ টাকা। আর যে ২০ বছর ধরে চাকরি করছে তারও বেতন সমান। এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে আগে দুই ঈদে ও নববর্ষে ভাতা পেতাম। তাও পাচ্ছি না।’

এ বিভাগের আরো খবর