বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোনালি মুরগির দামে সুখবর

  •    
  • ১৭ জুন, ২০২২ ১৮:২০

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা সোহাগ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চাইতে আইজক্যা মুরগির দাম কমছে ৪০ টাকা। ব্রয়লার আগের দামই আছে।’

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সোনালি মুরগির দাম।

শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা সোহাগ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চাইতে আইজক্যা মুরগির দাম কমছে ৪০ টাকা। ব্রয়লার আগের দামই আছে।’

অপরিবর্তিত থেকে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে লাল লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকায়।

গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯৫০ টাকায়।

শীত মৌসুমে সবজির দাম এবার চড়া থাকলেও গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসার পর দাম কমেছে অনেকটাই। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে।

বিক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন, ‘আলুর দাম হুট কইরা বাইড়া গেচে। কয়দিন আগেও আলু বিক্রি করচি ২০ টাকায়।’

বরবটি ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০, করলা ৩০-৪০, কাঁচা পেঁপে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কচুরমুখী, পটোল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখন সবজির সরবরাহ কম। তার পরও দাম খুব বেশি বাড়েনি। তার ওপর বৃষ্টি হয়েছে, বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। দু-একটা সবজির দাম বেড়েছে বা কমেছে। বাকিগুলা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।’

আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

প্রতি কেজি চায়না লাল রসুন গত সপ্তাহের মতোই ১২০ টাকা, সাদা রসুন ১৩০ এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আদা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি।

দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা এবং দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে।

মৌসুমেও দাম কমেনি চালের, ক্রেতা-বিক্রেতার অসন্তোষ

মে মাসের শুরুতেই চালের ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় দাম বেড়ে যায় ৫০০ টাকা। এরপর বাড়তি দামেই বিক্রি শুরু হয় চাল। ভরা মৌসুমে এসেও দাম কমেনি চালের।

কারওয়ান বাজারের হাজি রাইস এজেন্সির শামীম রেজা বলেন, ‘চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। গত মাসের শুরুতেই বস্তাপ্রতি ৫০০ টাকা করে বেড়ে যায় দাম। এরপর সেই দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে।’

বাজারে প্রতি কেজি আটাশ চাল ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট ৬৪-৬৮ টাকা, রকমভেদে নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৯২ টাকা, চিনিগুঁড়া ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৬-৫০ টাকা, কাটারিভোগ ১৩০-১৩৪ টাকা, বাসমতি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আনাস আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এখন চালের মৌসুম। এখন যে চাল উৎপাদন হবে, সেটা দিয়েই সারা বছর চলবে। এই সময়ে যে দাম হওয়ার কথা। তার চেয়ে অনেক দাম বেশি।’

আল্লাহর দান রাইস স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আউয়াল তালুকদার, ‘এখন যেহেতু চালের মৌসুম তাই অন্যান্য সময়ের চেয়ে দাম ৮-১০ টাকা কম হওয়ার কথা। কিন্তু কমেনি। শুধু ক্রেতা নন, আমরা বিপাকে পড়েছি।’

মাছের দাম

কারওয়ান বাজারে দুই কেজির কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা, দুই থেকে চার কেজি ওজনের কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রকমভেদে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার টাকা, বোয়াল আকারভেদে ৭০০ থেকে ৫০০, মৃগেল ২২০-২৫০, তিন কেজি ওজনের দেশি রুই ৫৫০, ছোট রুই ৩০০-৩৫০, গ্রাস কার্প ২৫০-৩০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া আইড় ৭০০-৮০০, পাবদা ৫০০, ট্যাংরা ৬০০, চিতল ৬০০, কৈ ২৫০-৩৫০ ও টাকি মাছ ৪৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর