বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারী বাড়াতে সম্মেলন

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ২২:৩৫

বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও সমুদ্ধ করতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নারীরা এখনো এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। তারা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বোধ করেন, যা শিক্ষার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব।’

পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারী বাড়াতে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) আয়োজনে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর তোপখানা রোডে বিআইসিএম অফিসে মঙ্গলবার এই সম্মেলন হয় বলে ইন্সটিটিউটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে উদীয়মান, প্রতিশ্রুতিশীল নারী বিনিয়োগকারীদের অধিকতর সক্রিয় অংশগ্রহণকে অনুপ্রাণিত করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের বর্তমান চিত্র তুলে ধরা হয়। পুঁজিবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ থেকে লাভ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এ সম্মেলনের লক্ষ্য।

সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্যে বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও সমুদ্ধ করতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নারীরা এখনো এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। তারা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বোধ করেন, যা শিক্ষার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘নারীদের পুঁজিবাজারে আগ্রহী করতে বিআইসিএম নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আয়োজন করছে। এছাড়া বিনিয়োগকারী হিসেবে নারীদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে প্রজ্জ্বলিত করার সাথে সাথে নারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে লাভ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।’

সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালার পাশাপাশি এসডিজি’র ৫ নম্বর গোলে বেশ কিছু উপধারা রয়েছে। নারীদের পুঁজিবাজার বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে ৩টি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। বিএসইসির একটি ট্রেনিংউইং, বিআইসিএম ও বিএএসএম।’

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে শহরে থেকে গ্রামঞ্চলে সবার মাঝে ছাড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। শিগগিরই ময়মনসিংহে এ বিষয়ক বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে নারীদের ৫০ জনের একটি দল বিএসইসিতে আবেদন করে তাহলে কমিশন আবেদনকারী দলের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন করবে।’

সমাপনী বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার রুমানা ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজার ছেলেদের জায়গা এটা ভেবেই হয়তো নারীরা এই সেক্টরে কম আসেন। তবে নারীদের নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টা এই চিত্র বদলাতে পারে। বুঝে-শুনে সবার আর্থিক বাজারে আসা উচিত।’

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন।

তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীরা ঈর্ষণীয় উন্নতি করেছে। এরপরও প্রায়শই নারী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন রকমের গুরুতর বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- স্টার্ট-আপ মূলধন পেতে অসুবিধা বা যথাযথ আর্থিক সক্ষমতার অভাব। পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের হার পুরুষদের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যা একটি প্রগতিশীল, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য বেমানান।’

‘যেসব বাঁধাসমূহ নারীদের পুঁজিবাজারে অধিকতর অংশগ্রহণে বাধা দেয় তা অবিলম্বে সেগুলো দূর করা প্রয়োজন ‘

সম্মেলনে পুঁজিবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ এবং বিদ্যমান সমস্যা বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। নারী বিনিয়োগকারীরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

প্যানেল আলোচনায় মর্ডান সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজেস্তা নূর- এ-নাহারীন বলেন, ‘নারীরা এখন অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী। তারা এখন বিনিয়োগের জায়গা খোঁজেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ঝুঁকি থাকলেও জেনে-শুনে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো যায়। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের মানসিক প্রস্তুতি থাকলে এই মার্কেট থেকে লাভ করা সম্ভব।’

এ বিভাগের আরো খবর