জ্বালানি সংকট তীব্রতর হওয়ার পাশাপাশি পেট্রল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ সারির পরিপ্রেক্ষিতে গাড়িচালকদের কাছে কোটার ভিত্তিতে তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
সংকটে থাকা দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকেরা রোববার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) স্বল্পতায় জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে। এমন বাস্তবতায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলন পেট্রোলিয়াম করপোরেশন তেল আমদানির অর্থ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আর্থিক অবস্থা মজবুত হওয়ার আগ পর্যন্ত ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভোক্তাদের নিবন্ধন করানো এবং তাদের গ্যারান্টির সঙ্গে সাপ্তাহিক কোটা দেয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর বিকল্প নেই।’
‘আমি আশা করছি জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন ব্যবস্থার আওতায় গাড়ির চালকরা কী পরিমাণ তেল কিনতে পারবেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতির কারণে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি।
চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝিতে সরকার এক আদেশে জানায়, পেট্রল পাম্পগুলোতে একটি মোটরসাইকেলের জন্য সর্বোচ্চ চার লিটার পেট্রল কিনতে পারবেন চালকরা। এ ছাড়া কোনো থ্রি-হুইলারে পাঁচ লিটার পেট্রল ভরা যাবে।
এর বাইরে ব্যক্তিগত গাড়ি ও স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যালগুলো (এসইউভি) সর্বোচ্চ সাড়ে ১৯ লিটার পেট্রল বা ডিজেল নিতে পারবে।
এ ব্যবস্থায় অনেক গাড়িচালক তেল ভরে কোনো বোতলে সংরক্ষণে রেখে আবার লাইনে দাঁড়াতেন। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে জ্বালানির লাইন আরও বড় হয়েছে।
শত শত ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও হাজারো মোটরসাইকেলচালক লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কেউ কেউ লাইনে একাধিক দিনও কাটিয়ে দিয়েছেন।