সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে, তা ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী বলে মনে করেন ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা। এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলেও তার মত।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এসব কথা বলেন তিনি।
শংকর সাহা বলেন, ‘করোনা অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবলে। এমন একটি সময় সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে, তা ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী।’
বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ও নন-এসি রেস্তোরাঁয় ভ্যাট কমানো, শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইলচেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সব ধরনের শুল্ক-কর বিলোপ করা, কাজুবাদামের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা, মুড়ি ও চিনির ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া, হ্যান্ড টাওয়েল/পেপার টাওয়েল/ক্লিনিক্যাল বেডশিটের ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘এ ছাড়া সুতার ভ্যাট কমানো হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারির ওপর প্রযোজ্য শুল্ক-কর কমানো, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বাল্কে (একত্রে বিপুল পরিমাণে) বিক্রির উদ্দেশ্যে, বাল্কে কেনার ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ের কেনা ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাবসহ হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খাবার তৈরির উপকরণে করছাড় দেয়া হয়েছে। এতে বলা যায় বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে পাইকারি ব্যবসায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ। এ খাতে যে পরিমাণ বিক্রি বা লেনদেন হয়, তার বিপরীতে উল্লেখিত হারে ভ্যাট দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে দেড় শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই হার কার্যকর করা হলে পাইকারি ব্যবসা খাতে করের চাপ কমবে। ফলে পণ্য সস্তা হবে এবং ভোক্তা উপকৃত হবে।’
এ বাজেটকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট উল্লেখ করে শংকর সাহা বলেন, ‘গত বছর আর এই বছরের চিত্র এক না। এখন একটি অস্বাভাবিক সময় চলছে। তার পরও সরকার ভালো বাজেট দেয়ার চেষ্টা করেছে। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য কল্যাণমূলক বাজেট হবে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন তিনি।