নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আগামী বছর সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় নিম্ন-আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারবদ্ধ এ সরকার আগামীতেও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করবে।
‘সে ধারাবাহিকতায় নিম্ন-আয়ের মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে এমনকি বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আগামী বাজেটে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সফল বাস্তবায়ন আমাদের সরকারের অগ্রাধিকারের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বল্প-আয়ের জনগোষ্ঠী যাতে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারে সে জন্য সরকার টিসিবির মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করছে। শহর অঞ্চলে ওএমএস-এর আওতায় চাল ও গম বিক্রি চলছে। রমজানে ১ কোটি পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
‘এছাড়াও, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটা উল্লেখযোগ্য অংশকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হয়েছে যাদের কাছে ডিজিটাল ব্যবস্থায় নগদ অর্থ দেয়ার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মজুদকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি এবং দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্ব। সংগত কারণেই কোভিড ১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্ভূত অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করে দেশের সর্বস্তরের জনগণের জীবন-জীবিকা এবং সর্বোপরি ব্যাপক কর্মসৃজন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা এবারের বাজেটে প্রাধান্য পাবে।
‘বিগত দুই অর্থবছরে আমরা যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে মূল গতিধারায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম, অনুরূপভাবে আগামী অর্থবছরেও ইউক্রেন সংকট উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখব।’