প্রতিবন্ধী ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষদের চাকরি দিলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ কর ছাড়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। সেই বাজেটেই এমন ঘোষণা দেন তিনি।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তার মোট কর্মচারীর ১০ শতাংশ বা ২৫ জনের অধিক প্রতিবন্ধী বা ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়, তবে ওই কর্মচারীদের পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ বা প্রদেয় করের ৫ শতাংশ, যেটি কম, তা নিয়োগকারীকে কর রেয়াত হিসেবে অনুমোদনের প্রয়োজনীয় বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করছি।’
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কর রেয়াতে ট্রান্সজেন্ডোরদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বা ১০০ জনের বেশি কর্মী নিয়োগের শর্ত ছিল। এবার সেই সংখ্যা ২৫ জনের বেশির কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে গতবার শুধু মোট কর্মীর ১০ শতাংশের কথা বলা হয়েছিল। এবার উভয়ক্ষেত্রেই একই শর্ত আরোপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে (২০২১-২২ অর্থবছরে) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের ন্যূনতম ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগ করলে ওই করদাতাকে প্রদেয় করের ৫ শতাংশ কর রেয়াত প্রদান এবং যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তার মোট কর্মচারীর ১০ শতাংশ বা ১০০ জনের অধিক তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়, তবে ওই কর্মচারীদের পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ বা প্রদেয় করের ৫ শতাংশ, যেটি কম, তা নিয়োগকারীকে কর রেয়াত হিসেবে অনুমোদনের বিধান চালু রয়েছে।’
বর্তমান সরকার দেশের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সমাজ এবং অর্থনীতির মূলধারায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অন্যতম একটি বৃহৎ অংশ হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। এ জনগোষ্ঠী অন্যদের চেয়ে আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে আছে।
তারা সমাজের মূলধারার বাইরে রয়েছে। কর্মক্ষম ও পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে পারলে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষের কর্মসংস্থান, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে আমি মহান এ সংসদে বর্তমানে চালুকৃত বিশেষ কর প্রণোদনাকে আরও প্রসারিত করার প্রস্তাব করছি।’