জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর এক বছর। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, নির্বাচনের আগের বছরের জাতীয় বাজেটে থাকে ভোটের হাওয়া। বাজেট সাজানো হয় ভোটের বিষয়টি মাথায় রেখে।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উঠছে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। এই বাজেট প্রস্তাবনায় এবার সেই ভোটের হাওয়ার আভাস নেই। প্রকল্প অনুমোদনে সাংসদদের তদবিরও তেমন একটা নেই। কাবিখা, টিআর কর্মসূচির জন্য বেশি বেশি বরাদ্দের দাবিও কম। রাস্তা-ঘাট, সেতু, কালভার্ট নিমার্ণের প্রস্তাব নিয়ে নেই দৌড়ঝাঁপ।
করোনা মহামারি-পরবর্তী অর্থনীতি তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে। হাল অনেকটাই ফিরেছে। কিন্তু গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
সংকট আগেও ছিল। কিন্তু গত প্রায় দেড় দশকে সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে এত বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে আর কখনো পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। রপ্তানি ছাড়া আপাতত স্বস্তির সূচক খুব একটা নেই। ফলে সংকট মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থমন্ত্রী।
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- মূল্যস্ফীতি ঠেকাও, ভতুর্কির চাপ সামলাও।’
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অর্থমন্ত্রী আ ফ ম মুস্তফা কামালের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ পাঁচটি।
এক. মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখা।
দুই. বেকারত্ব সমাধানে কর্মসংস্থান বা চাকরির সুযোগ তৈরি করা।
তিন. আয় বা রাজস্ব আহরণ বাড়ানো। কারণ রাজস্ব আদায় বাড়লে সামাজিক সুরক্ষায় আরও বেশি ব্যয় করা যাবে।
চার. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া।
পাঁচ. ভতুর্কির চাপ সামলানো। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার ভতুর্কিতে বেশি বরাদ্দ থাকছে। এটি না কমালে বাজেট ঘাটতি আরও বেড়ে যাবে।
অর্থনীতি নিয়ে এমন কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অনিশ্চিত আগামীর জন্য বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। এটি বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থ বাজেট এবং অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট।
বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুরু করবেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় সংসদ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারি ও বিরোদী দলের সংসদ সদস্য, কূটনীতিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে সংসদ কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সরকার প্রধান থেকে নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করে নেবেন অর্থমন্ত্রী।
প্রশ্ন হলো, কী দাওয়াই নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী, যার প্রভাবে স্থিতিশীল হবে দেশের অর্থনীতি। সহনীয় হবে মূল্যস্ফীতি। স্বস্তি ফিরবে জনসাধারণে। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দেশবাসীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের এটি পূর্ণাঙ্গ শেষ বাজেট। এই সরকারের মেয়াদে আরেকটি বাজেট দেয়ার সুযোগ থাকলেও তা বাস্তবায়নে সময় মিলবে ছয় মাস। ফলে এই বাজেটটি সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নতুন বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রবৃদ্ধির পেছনে না ছুটে বাজার স্থিতিশীল করা এবং ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো। আর মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। কারণ অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে নিম্ন আয়ের মানুষের বেশি ক্ষতি হবে। এ জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।’
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নিম্ন আয়ের পরিবারকে আরও বেশি নগদ সহায়তা দেয়ার বিষয়টি বাজেটে গুরুত্ব দিতে হবে।’
এবারের বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম হচ্ছে- কভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক ঝুঁকি থেকে দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ থেকে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো।
বাজেটের সম্ভাব্য আকার
বাজেট প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, সক্ষমতা উন্নয়নে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার নতুন এডিপি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি পাস হয়েছে।
বাজেটের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। মূলত সামাজিক সুরক্ষা, ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা খাতে এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। এতে করে উৎপাদন, কর্মসংস্থান, আয় ও দক্ষতা বাড়বে এবং মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছবে।
জানা যায়, নতুন বাজেটে মোট রাজস্বপ্রাপ্তি ধরা হচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে এবারও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে সিংহভাগ অর্থের জোগান দেয়া হবে।
এনবিআরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে যোগান মিলবে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে কর ব্যতীত রাজস্ব থেকে আসবে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে প্রাক্কলন করা হবে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবারও সম্প্রসারণমূলক (বেশি ব্যয়) বাজেট দিচ্ছে সরকার। এ জন্য বাজেটে বেশি ঘাটতি রাখা হচ্ছে।
৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই পরিকল্পনায় মোট আয় প্রাক্কলন করা হচ্ছে (অনুদানসহ) ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। সে হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল জিডিপির ৬ শতাংশ।
অম্ভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণ- এ দুটি উৎস থেকে এই ঘাটতি মেটানো হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
এর বাইরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও সংস্থার কাছ থেকে এবার ৯৫ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকার ঋণ নেয়া হবে বাজেটে অর্থায়নের জন্য।
বিদায়ী অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৭ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আশা করছে সরকার। অর্থনেতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হচ্ছে এবং বাজেটে গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আগামীতে এটি আরও সচল হবে। এ জন্য অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রাক্কলন করা হয় সাড়ে ৭ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশ।
ব্যয়ের প্রধান খাত
বাজেট বরাদ্দের বেশির ভাগ টাকা প্রধানত তিনটি খাতে খরচ করা হবে। এগুলো হলো- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, ঋণের সুদ পরিশোধ এবং ভর্তুকি। এই তিনটি খাতে মোট বাজেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ চলে যাবে।
সব মিলে এই তিনটি খাতে মোট ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বেতন-ভাতায় ৭৬ হাজার ৪১২ কোটি, সুদ পরিশোধে ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি এবং ভর্তুকি বাবদ ৮৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
যা থাকছে বাজেটে
ভাতার অংক না বাড়লেও এবার সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ছে। এখন সারাদেশে নিয়মিত মাসিক ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ। নতুন বাজেটে এই সংখ্যা আরও ১১ লাখ বাড়ানো হচ্ছে। শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ছে ১০০ টাকা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে বর্তমানে ১২২টি কর্মসূচি চালু আছে। এসব কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে বরাদ্দ থাকছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ শতাংশ। গত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা।
উৎপাদনশীলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার সার, রপ্তানি, জ্বালানি, খাদ্যসহ অন্যান্য খাতে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।
ব্যক্তি আয়করে ছাড় মিলছে না। বিদ্যমান ৩ লাখ টাকাই অপরিবর্তিত থাকছে।
তবে বিনিয়োগ বাড়াতে করপোরেট করে ছাড় মিলছে। পোশাকসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য করপোরেট কর হার ‘অভিন্ন রেট’ ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে, যা এখন বিভিন্ন হারে আছে। এছাড়া রপ্তানির বাইরে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির কর হার কমছে। একইসঙ্গে কমছে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার। তবে ব্যাংক, বীমাসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর হার একই থাকছে। পোশাক খাতের উৎসে কর হার দ্বিগুণ হচ্ছে।
বহুল আলোচিত অর্থপাচার রোধে পদক্ষেপ থাকছে। যারা পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনবে তাদের ১০ শতাংশ কর দিয়ে টাকা বৈধ করার বিশেষ সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
শেয়ার বাজার, নগদ টাকা, জমিসহ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ আছে তা আর থাকছে না। তবে বিদেশে কারও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকলে তা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন বা দেশে নিয়ে আসার সুযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায় মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট কমছে।
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সাশ্রয়ী হতে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ৫৬টি বিলাসপণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক বসছে। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩৫টি পণ্যের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
বিভিন্ন খাতে রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তায় বরাদ্দ কমতে পারে। বর্তমানে ৩ থেকে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয় সরকার। আবার ব্যাংক হিসাবে জমার বিপরীতে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। ১ কোটি টাকার বেশি যাদের আমানত বা ঋণ আছে, তাদের বেশি পরিমাণে আবগারি শুল্ক দিতে হবে।
সব করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে বিশেষ ছাড় দেবে এনবিআর। যেসব টিআইএনধারী গত কর বছরে বা তার আগেও আয়কর রিটার্ন জমা দেননি, তারা কোনো ধরনের জরিমানা ছাড়াই আগামী কর বছরে রিটার্ন দিতে পারবেন। একইসঙ্গে বেশকিছু ক্ষেত্রে সেবা নিতে রিটার্নের সঙ্গে প্রমাণপত্র জমা দেয়ার বিধান আসছে।
ব্যক্তি খাতে উপহার পাওয়া সম্পদ করমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। বর্তমানে বাবা-মা যদি সন্তানকে উপহার দেন, তাহলে সে সম্পদ আয়করমুক্ত। কিন্তু সন্তান বাবা-মাকে উপহার দিলে তার বিপরীতে আয়কর দিতে হয়। এ বিধান তুলে নেয়া হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগাম করের অর্থ রিফান্ড বা ফেরত দেয়া হচ্ছে না। সেজন্য আমদানিনির্ভর কাঁচামাল ব্যবহারকারী ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানের আগাম করের বিধান প্রত্যাহার করা হতে পারে। বিশেষ করে সিমেন্ট, সিরামিক, বেভারেজ, ভোজ্যতেল, গ্যাস, পেট্রোলিয়ামসহ বিভিন্ন খাতের জন্য এ সুবিধা দেয়া হতে পারে।
যেসব প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয়ভাবে ভ্যাট নিবন্ধনের উপযুক্ত, তাদের কেন্দ্রীয় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হবে। ভ্যাটের জরিমানা নেয়া হবে সর্বোচ্চ ২৪ মাসের। অনলাইনে ভ্যাটের রিটার্ন দাখিল, ইএফডি মেশিন ব্যবহার উদ্বুদ্ধকরণের উদ্যোগ থাকছে বাজেটে।