বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমায় হুলুস্থুল, ব্যাংকেও ভালো দিন

  •    
  • ৬ জুন, ২০২২ ১৪:৫৪

এ দুই খাতে ভালো দিনের পরও সূচক কিছুটা কমেছে। টানা সাত কর্মদিবসে ৩০৯ পয়েন্ট বাড়ার পর প্রথমবারের মতো ৮ পয়েন্ট কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। লেনদেন আরও একটু এগিয়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে।

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আলোচনার মধ্যে সাধারণ বিমা খাতে ব্যাপক উত্থান দেখা গেল, ২০২১ সালে লকডাউন পরিস্থিতিতে যে চিত্র দেখা দিয়েছিল।

সাধারণ বিমা খাতে কেবল সবগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এমন নয়, সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টিই ছিল এই খাতের।

লেনদেন হওয়া ৩৯টি কোম্পানির মধ্যে ২টির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ, ১০টির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, ৭টির দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি, ৫টির দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।

এ ছাড়া ৫টির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, ৫টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি, ৩টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। একটির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি, একটির ২ শতাংশের বেশি।

সাধারণ বিমায় এই চিত্রের ছোঁয়া অবশ্য জীবন বিমায় দেখা যায়নি। এ খাতের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির, কমেছে পাঁচটির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দর।

সকালে দরপতন হলেও লেনদেনের শেষ বেলায় ব্যাংকেও কিছুটা সুবাতাশ দেখা যায়। এ খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, অপরিবর্তিত থাকে আটটির আর দর কমে সাতটির দর।

তবে অন্যান্য দিনের মতোই ব্যাংক খাতে দর বৃদ্ধি ও কমার হার খুব একটা বেশি দেখা যায়নি।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১৯টি কোম্পানির প্রতিটিই সাধারণ বিমা খাতের। এগুলোর সবগুলোর দাম বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি

এ খাতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বাড়ে এনআরবিসির। এবি ব্যাংকের দর বাড়ে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ২ দশমিক ৮০ শতাংশ, এনবিএলের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ২ দশমিক ১০ শতাংশ, সাউথ বাংলার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এ দুই খাতে ভালো দিনের পরও সূচক কিছুটা কমেছে। টানা সাত কর্মদিবসে ৩০৯ পয়েন্ট বাড়ার পর প্রথমবারের মতো ৮ পয়েন্ট কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। লেনদেন আরও একটু এগিয়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে।

দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৯৭৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯৫০ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

এই লেনদেন গত ১৬ মের পর সর্বোচ্চ, যেদিন হাতবদল হয় ১ হাজার ২৪ কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

টানা সাত কর্মদিবস বাড়ার পর সূচক প্রথমবারের মতো কমল সোমবার

ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন বাজার চাঙা ছিল। সাতদিন টানা সূচক বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আজকে একটু প্রফিট টেকিং হয়েছে, যার কারণে সূচক সামান্য হ্রাস পেয়েছে এবং টার্নওভার কিছুটা বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিমা ও ব্যাংকের শেয়ারে কিছুটা আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। বেশ কিছুদিন ধরে এ খাতের শেয়ারে মনোযোগ কম ছিল। কিছুটা আন্ডারভ্যালুড হয়ে পড়েছিল বলা যায়। আজকে বিনিয়োগকারীদের নজরে ছিল, যার কারণে দাম বেড়েছে।’

ব্যাংক-বিমার পরেই দর বেড়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল খাত। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এদিন। মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানের দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৮টির। আর এবং আগের দামে লেনদেন হয়েছে ৩টি কোম্পানির শেয়ার।

প্রকৌশল খাতের যতগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি কোম্পানির দর কমেছে। ২৭টি কোম্পানির দর হ্রাসের বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ১২টির। দাম অপরিবর্তিত ছিল ৩টির।

ভালো দিন গেছে মিউচ্যুয়াল খাতের বিনিয়োগকারীদের। প্রায় ৫৩ শতাংশ বা ১৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে এদিন। ১২টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দামে। বিপরীতে ৪টি মিউচ্যুয়াল ফাণ্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে দাম কমে।

এছড়া জ্বালানি খাতে ৯টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৭টি, বস্ত্র ও খাদ্য খাতে ৫টি করে কোম্পানির দর বেড়েছে। অন্যদিকে আইটি এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোনো কোম্পানির দর বাড়েনি, সবগুলোরই কমেছে।

দর পতনের শীর্ষ ১০

সবচেয়ে বেশি ট্রাস্ট ব্যাংকের ১০.০৭ শতাংশ দরপতন দেখালেও প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগকারীর এত লোকসান হয়নি।

গত ২৬ এপ্রিল সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে ব্যাংকটি। এর রেকর্ড ডেট ছিল রোববার। সেদিন দর ছিল ৩৯ টাকা ৭০ পয়সা। বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর দর দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা।

অর্থাৎ দর সমন্বয়ের পর লোকসান হয়েছে ৪০ পয়সা। কিন্তু বিনিয়োগকারী শেয়ার প্রতি নগদ লভ্যাংশ পাবেন এক টাকা ২০ পয়সা। নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় না হলেও দেশের পুঁজিবাজারে যতটা নগদ লভ্যাংশ, সে পরিমাণ দাম কমতে দেখা যায়। কিন্তু ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে অতটা কমেনি।

প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এনার্জি পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের। ২২ মে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটির দর ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে গতকাল পর্যন্ত। আজ সেটা কমেছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির আয় কমেছে প্রায় ১৮ পয়সা। প্রতিট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৪০ টাকা।

একই সমান দর কমেছে গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো লিমিটেডের। আগের দিন ২০ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সায়।

এছাড়া ২ শতাংশের একদম কাছাকাছি দর কমেছে বাকি আটটি কোম্পানির। এগুলো হলো জেনেক্স ইনফোসিস, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সৃহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুনস্পুল পেপার, সিলকো ফার্মা, আইএসএন এবং অ্যাম্বি ফার্মা।

এ বিভাগের আরো খবর