বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চালের দাম কমেছে মিলে, প্রভাব নেই বাজারে

  •    
  • ৪ জুন, ২০২২ ১৭:৩২

কুষ্টিয়া পৌর বাজারের মেসার্স মা স্টোরের আহম্মদ মনজুরুল হক রিপন বলেন, ‘সবাই দাম কমায়নি। চাল বেশি চলে এমন কোম্পানিগুলো সরবরাহ বাড়ালে ও দাম কমালে দু-তিন দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হবে।’

কুষ্টিয়ায় মিল পর্যায়ে মিনিকেট চালের দাম কমেছে। কেজিতে ২ টাকা কমে ৫০ কেজির বস্তা মিলগেটে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১০০ টাকায়।

তবে চালকলে দাম কমার প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। ভোক্তাদের চড়া দামেই চাল কিনতে হচ্ছে।

চালকল মালিক নেতারা বলছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। খুচরা পর্যায়ে এখনও মিলের দামের প্রভাব পড়েনি। আগে বেশি দামে কেনার দোহাই দিয়ে তারা মিনিকেট চাল ৬৭ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করছেন।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, ‘প্রশাসনের অভিযানে ধানের দাম কমার প্রভাব চালের বাজারে পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সরু চালের দাম কমে গেছে। সরু চালের বড় মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে কেজিপ্রতি ২ টাকা কমানো হয়েছে। এখন সরু চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১০০ টাকায়। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম পড়ছে ৬২ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘ধানের দাম নিম্নমুখী, তাই চালের দাম আরও কমতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে গোল্ডেনসহ কিছু মিলে দাম এখনও সরু চাল বস্তাপ্রতি ৩ হাজার ২০০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।’

গোল্ডেন রাইসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুজ্জামান জিকু জানান, আগের দিন তারা সরু চাল ৩ হাজার ২৫০ টাকা বস্তা বিক্রি করেছেন। শনিবার তা ৩ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কুষ্টিয়া পৌর বাজারের মেসার্স মা স্টোরের আহম্মদ মনজুরুল হক রিপন বলেন, ‘সবাই দাম কমায়নি। চাল বেশি চলে এমন কোম্পানিগুলো সরবরাহ বাড়ালে ও দাম কমালে দু-তিন দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।'

মিলে দাম কমলে তার প্রভাব আসতে তিন দিন লাগবে বলে জানান শাপলা ট্রেডার্সের মালিক আশরাফুল ইসলাম।

চাল বিক্রেতা মো. স্বপন বলেন, ‘এখন দাম পড়তির দিকে। তাই লোকসানের ভয়ে পাইকার বা খুচরা বিক্রেতারা একসঙ্গে বেশি পরিমাণ চাল কিনতে চাইবেন না। তারা আগে কেনা চালই শেষ করবেন আগে। এ কারণে মিলে দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়তে তিন-চার দিন লাগবে।’ এদিকে মিলে দাম কমার পরও বাজারে এর প্রভাব না থাকায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা।

সাব্বির হোসেন চাল কিনতে এসে বলেন, ‘শুনলাম দাম কম। কিন্তু একই দাম রাখছেন। যখন বাড়ে তখন তো মুহূর্তেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। এখন বলছেন কম দামের চাল এখনও আসেনি!’ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, ‘নিম্নমুখী ধান-চালের বাজারে কেউ যদি বেশি দামে বিক্রি করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযান নিয়মিত চলবে।’

সারা বছর চালকল ও বাজারে জোরালো মনিটরিং অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কুষ্টিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু।

এ বিভাগের আরো খবর