বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণের গহনা বিক্রি নয়: বাজুস

  •    
  • ১ জুন, ২০২২ ২৩:৪৭

বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন বলেন, ‘এখন থেকে কোন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণের গহনা বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের স্বর্ণের গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে স্বর্ণের গহনা কেনার অনুরোধ করছি।’

হলমার্ক বা মান নিশ্চিতকরণ ছাপ দেখে মানসম্মত স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুসের নেতারা। একইসঙ্গে হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণের গহনা বিক্রি না করতে সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বাজুস নেতারা বলেছেন, সঠিক মানের স্বর্ণের গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। আর এই লক্ষ্যে ক্রেতাদের মান যাচাই করে সোনার গহনা কেনার অনুরোধ করেছেন তারা।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বুধবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রের চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।

সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, ‘দেশে যে সব স্বর্ণের মান নিয়ন্ত্রণে ল্যাব রয়েছে, তা আরও উন্নত করতে হবে। এ সব ল্যাব আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা যাবে না।’

বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যারা নিম্মমানের স্বর্ণের গহনা বিক্রি করছে, তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। বাজুসের একটি মনিটরিং ঠিম গঠন করে স্বর্ণের মানোন্নয়ন করতে হবে।’

সংগঠনের আরেক সাবেক সভাপতি দিলিপ কুমার রায় বলেন, ‘যে কোন মূল্যে স্বর্ণের মান ঠিক করতে হবে। স্বর্ণের গহনার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না। দেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মানের গহনা বিক্রি করতে হবে।

এনামুল হক খান দোলন বলেন, ‘এখন থেকে কোন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণের গহনা বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের স্বর্ণের গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে স্বর্ণের গহনা কেনার অনুরোধ করছি। এই খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।’

বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিম্মমানের স্বর্ণের গহনা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না।

সংগঠনের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘যে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্মমানের স্বর্ণের গহনা বিক্রি করে, তাদের আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বাজারে স্বর্ণের গহনার আর্ন্তজাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।’

আরেক সহসভাপতি বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘কিছু কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিম্মমানের যে সব স্বর্ণের গহনা বিক্রি হয়, এটা বন্ধ করতে হবে।’

সভায় অন্যদের মধ্যে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরাওয়ালা, দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন,সমিত ঘোষ, বিধান মালাকার, জয়নাল আবেদিন খোকন, লিটন হাওলাদার, উত্তম বণিক, বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, রিপনুল হাসান এবং ইকবাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর