ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যানরা ব্যাংকের সহযোগী কোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যারা আছেন তাদের চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু দক্ষ লোক না পাওয়ায় তাদের পদে থাকার সময় আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
এর আগে ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে গত ১১ মে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে ব্যাংকের পরিচালকদের কেউ দুই দায়িত্বে থাকলে তাকে ৩০ জুনের মধ্যে পদত্যাগ করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। একই সঙ্গে কোনো ব্যাংকের পরিচালকদের পরে ওই ব্যাংকের কোনো পদে সরাসরি বা পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের বেলাতেও একই সার্কুলারে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বলা হয়, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের, নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানরা ওই ব্যাংকের অধীনে সহযোগী বা অর্থায়ন করা কোনো কোম্পানির পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। এমনকি ব্যাংকের পরিচালিত ফাউন্ডেশনের পরিচালনায়ও সম্পৃক্ত হতে পারবেন না তারা।
কিন্তু এমন নির্দেশনা কিছুটা শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার জারি করা নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাবসিডিয়ারিসহ ব্যাংকের অর্থায়নে গঠিত অন্যান্য কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানের লাভ-ক্ষতি ও সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি ব্যাংক কোম্পানিকেই বহন করতে হয়। বিধায় উক্ত কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এখন ব্যাংকগুলো জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এবং ব্যাংকের অন্যান্য কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত চেয়ারম্যান, পরিচালক ও সদস্যের পদ একসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে শূন্য করা হলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাব সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। ফলে ব্যাংক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এবং ব্যাংকের অর্থায়নে গঠিত অন্যান্য কোম্পানির প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্বরত চেয়ারম্যান, পরিচালক ও সদস্যের শূন্য পদের জন্য ব্যাংকের দক্ষ উত্তরসূরি ও প্রতিস্থাপক গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে পদত্যাগ ও অব্যাহতি গ্রহণের মাধ্যমে পদ শূন্য করার সময় আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।