বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে এটিবি, ইটিএফ

  •    
  • ৩১ মে, ২০২২ ১৭:০৪

‘ইটিএফ অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো, যা অ্যাসেট ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হবে এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ন্যায় ট্রাস্টি থাকবে। এ ছাড়া ইটিএফ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে এবং লভ্যাংশ দেবে।’ 

পুঁজিবাজারে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো আরেক পণ্য এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)।

এই ইটিএফ থেকে নির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। চাইলেই যেকোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে না।

ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানিগুলোর এটিবিতে লেনদেন হবে। এ ছাড়া অতালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট লেনদেন হবে।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এতে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সাইফুর রহমান মজুমদার ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, ‘ইটিএফ অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো। যা অ্যাসেট ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হবে এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ন্যায় ট্রাস্টি থাকবে। এ ছাড়া ইটিএফ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে এবং লভ্যাংশ দেবে।’

তিনি বলেন, ‘শুরুতে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে ইটিএফের যাত্রা শুরু করা হবে। এই ৫০ কোটি টাকা অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ন্যায় সংগ্রহ করা হবে এবং তা দিয়ে অ্যাসেট ম্যানেজার শুধুমাত্র ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করতে পারবে। এমনকি ওই ৩০ সূচকের প্রতিটি কোম্পানিতে ওয়েটেড এভারেজ ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হবে।’

ডিএসইর এমডি বলেন, ৫০ কোটি টাকার ইটিএফ গঠনের জন্য উদ্যোক্তা ১০ শতাংশ হারে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাসেট ম্যানেজার ২ শতাংশ হারে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বাকি ৪৪ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের থেকে ইটিএফ অনেক নিরাপদ উল্লেখ করে ডিএসইর এমডি বলেন, ইটিএফ কখনো ধ্বংস হয় না। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথম ইটিএফ গঠন হবে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে। এখন ওই ৩০ কোম্পানির মধ্যে যদি কোনো একটি ডিএসই-৩০ সূচক থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে ইটিএফের অ্যাসেট ম্যানেজার সেই কোম্পানির সিকিউরিটিজ বিক্রি করে দেবে এবং ৩০ সূচকে নতুন যে কোম্পানি আসবে, সেই কোম্পানির সিকিউরিটিজ কিনে নেবে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও গ্রিন ডেল্টা ড্রাগন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইটিএফ গঠনে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

ইটিএফ শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে জানান ডিএসইর এমডি। তিনি বলেন, ‘শুরুতে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে ইটিএফ গঠন করা হলেও পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে করা হবে। সেটা শরিয়াহভিত্তিক সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে, ফার্মাসিউটিক্যালস বা অন্য কোনো খাতের কোম্পানি নিয়ে ইটিএফ গঠন করা হতে পারে।

অনুষ্ঠানে ডিএসইর সিওও সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, সারা বিশ্বে ইটিএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এখানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইটিএফ পরিচালনা করা হবে। এটি চালুর মধ্য দিয়ে দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের উন্নতি হবে।

এ বিভাগের আরো খবর