আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের একক দর বেঁধে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগে রোববারের মধ্যে ডলারের একক রেট নির্ধারণ করবেন ব্যাংকাররা।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর জন্য ডলারের একক রেট বা দর বেঁধে দিয়ে রোববারের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে। এর ভিত্তিতে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের একক দর বেঁধে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নররা, বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধানসহ বাফেদা ও এবিবির শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডলারের দর, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স বাড়ানোর উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘এক ব্যাংকের রপ্তানি বিল অন্য ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা যাবে না। ডলারের সংকট মেটাতে প্রয়োজনীয় তারল্য সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
ডলারের আন্তঃব্যাংক দর ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা থাকলেও গত কয়েক দিনে অনেক ব্যাংক প্রবাসী ও রপ্তানিকারকদের থেকে ৯৫ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনেছে। আর আমদানিকারকদের কাছে তা বিক্রি করেছে ৯৭ টাকা পর্যন্ত দরে। এছাড়া খোলাবাজারে ডলারের দর উঠে গেছে ৯৮ থেকে ৯৯ টাকায়।
হঠাৎ করে এভাবে ডলারের দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক পরিদর্শনে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রির পরিমাণ ৫৮০ কোটি ৭০ লাখ।
এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘বৈঠকে ডলার নিয়ে সাময়িক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু রেজুলেশন অ্যাফেক্ট নেয়া হয়েছে। রোববারের মধ্যে একক রেটের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হবে। আমরা কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি। ডলারের সাময়িক যে চাপ হচ্ছে সেটা দ্রুতই সহনীয় হয়ে যাবে।