আগামী অর্থবছরের জন্য আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে রয়েছে বড় অংকের বরাদ্দ। এডিপি বরাদ্দে সব চেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প।
মঙ্গলবার এনইসি বৈঠকে নতুন এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে অংশ নেয়।
এবারের এডিপিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি -৪) পেয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৮ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রজেক্ট, প্রায় ৬ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ প্রকল্পের অন্যগুলো হচ্ছে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়), প্রায় ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা; পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, প্রায় ৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা; কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ডব্লিউবি - জিওবি), প্রায় ৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, প্রায় ৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা; ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, প্রায় ৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা; এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া, প্রায় ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা এবং ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬), প্রায় ২ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।
শীর্ষ বরাদ্দে না থাকলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু পাচ্ছে ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা। শেষ পর্যায়ে থাকা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প পাচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর সংশ্লিষ্ট দুই প্রকল্প পাচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার রেল প্রকল্প পাচ্ছে ১২০ কোটি টাকা।