বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে নতুন রেকর্ড

  •    
  • ১৬ মে, ২০২২ ২১:৫৯

২০২২ সালের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে গ্রামে পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার এবং শহরে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ছয় কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার এবং মহিলা গ্রাহক চার কোটি ৫৬ লাখ ২৬ হাজার। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ জনে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৭৭ হাজার ২২ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। যা একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা।

এর আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় জানুয়ারিতে। লেনদেনে হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৯৩ টাকা।

২০২১ সালের মে মাসে ৭১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা লেনদেন করেন গ্রাহকরা। যা এখন পর্যন্ত একক মাস হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বলেছেন, এক মাসে এত লেনদেন এর আগে কখনও হয়নি। দ্রুত শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে তাৎক্ষণিকভা‌বে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহক সংখ্যার স‌ঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। আর লেনদেনের সীমা বাড়ানোর ফলে রেকর্ড লেনদেন হয়েছে।

বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়সহ দেশে বর্তমানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা (এমএফএস) দিচ্ছে।

ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’ও একই ধরনের সেবা দিচ্ছে। তবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির এই সেবা উল্লিখিত হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে সম্প্রতি এর সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে এমএফএস মাধ্যমে গ্রাহকরা দিনে এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারবেন। আগে দৈনিক ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা করা যেত না। কার্ড থেকে টাকা জমার সীমাও নির্দিষ্ট ছিল না। এখন একজন গ্রাহক আরেকজনকে মাসে দুই লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে এ সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা।

গ্রাহক প্রায় ১১ কোটি

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৩টি এমএফএস সেবার হালনাগাদ তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে গ্রামে পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার এবং শহরে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।

নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ছয় কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার এবং মহিলা গ্রাহক চার কোটি ৫৬ লাখ ২৬ হাজার।

এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ জনে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অন্যান্য সেবা

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন আর শুধু টাকা পাঠানোতেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং এর মাধ্যমে দৈনন্দিন কেনাকাটা, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ এবং মোবাইলে রিচার্জসহ নানা ধরনের সেবা মিলছে।

রাজধানী ও জেলা শহরে গাড়িচালক ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবা মাধ্যম ব্যবহার করে। শ্রমজীবীরাও এখন এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন।

এমএফএস মাধ্যমে গেল মার্চে মোট ৩৬ কোটি চার লাখ ৮৪ হাজার ৯৩২টি লেনদেনের মাধ্যমে ৭৭ হাজার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা স্থানান্তর হয়েছে।

মার্চে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে জমা পড়েছে (ক্যাশ ইন) ২৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা। এ সময়ে তোলা হয়েছে (ক্যাশ আউট) ২০ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা।

ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ২২ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে দুই হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। কেনাকাটার দুই হাজার ৮৮৪ কোটি টাকার বিলও পরিশোধ হয় এ মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

এ বিভাগের আরো খবর