বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা এবং নিম্ন আয়ের পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দিতে সোমবার থেকে বিক্রয় কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। তবে বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এই কার্যক্রম স্থগিত করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিসিবির নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আজ ১১০ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল বিক্রির ঘোষণা থাকলেও তা পাচ্ছেন না খোলাবাজারের ক্রেতারা।
ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কাজ শেষ হলে শুধু কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের কাছে স্বল্পমূল্যে এসব পণ্য বিক্রি চলবে বলেও জানিয়েছে টিসিবি। যা কার্যকর হবে জুন থেকে।
টিসিবির তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন করিব সাক্ষরিত এক বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকার টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তার পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী জুন থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলোর মধ্যে আছে ভোজ্যতেল, মশুর ডাল ও চিনি।
আরও পড়ুন: আগের দামেই টিসিবির সয়াবিন, মিলবে সোমবার থেকে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিক্রয় কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীর কাছে নিত্যপণ্য পূর্ণ সাশ্রয়ী দামে পৌঁছানোর লক্ষে সরকার নীতিগতভাবে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা (উত্তর, দক্ষিণ) ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ফ্যামিলি কার্ড প্রয়ণন ও বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ ও কার্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পর থেকে শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবি পণ্যসামগ্রী বিক্রির কাজ চলবে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য চলতি মাসের স্বল্প পরিসরে সাধারণ ট্রাকসেল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।’
গত ১১ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে নিম্ন আয়ের পরিবারকে সাশ্রয়ী এবং ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দিতে টিসিবি সারাদেশে সব মহানগরী, জেলা ও উপজেলায় ২৫০-৩০০টি খোলা ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করবে।’
১৬ মে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলার কথা ছিল ৩০ মে পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা ও প্রতি কেজি মশুর ডাল ৬৫ টাকায় বিক্রি করা হবে। এপ্রিলের অবশিষ্ট ছোলা ৫০ টাকা কেজি দরেও গ্রাহকরা কিনতে পারবেন বলে সেসময় জানায় টিসিবি।
একজন ভোক্তার ক্রয়সীমা নির্ধারণ করা হয় ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি ও ২ কেজি ডাল। আর ছোলার ক্ষেত্রে বলা হয়, ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করা হবে।