বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তার অভিযান চলবে

  •    
  • ১২ মে, ২০২২ ২১:৪৩

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অভিযানে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর এবং বড় জরিমানা কিংবা মজুতদারির ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করার কথাও বিবেচনা করছে অধিদপ্তর। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনটি ভোক্তা সরাসরি ব্যবহার করবে না, বরং ভোক্তার অভিযানে স্থানীয় থানা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে এই আইন প্রয়োগ করা হবে।’

ভোজ্যতেল কারসাজির সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারা দেশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারও কথায় অভিযান বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অভিযানে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর এবং বড় জরিমানা কিংবা মজুতদারির ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করার কথাও বিবেচনা করছে অধিদপ্তর। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনটি ভোক্তা সরাসরি ব্যবহার করবে না, বরং ভোক্তার অভিযানে স্থানীয় থানা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে এই আইন প্রয়োগ করা হবে।

‘এখানে ভোক্তা অভিযোগ করবে। থানা তদন্ত করবে। এরপর অভিযোগ গুরুতর হলে সেখানে সরকার বাদী হয়ে এই বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করবে।’

তিনি দাবি করেন, ‘ভোক্তার অভিযান ব্যবসায়ীদের কলুষিত করার জন্য নয়। এটা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। আমরা কারও ওপর আক্রোশ বা বিদ্বেষমূলক অবস্থান থেকে এই অভিযান পরিচালনা করছি না। যা করছি আইন অনুযায়ী, আইনের ধারার ভেতর থেকেই। সেটিও করা হচ্ছে দেশে ভোক্তার বৃহৎ স্বার্থ রক্ষায়।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত তেল মজুত থাকা সত্ত্বেও ঈদের আগে-পরে কেন এই সংকট তৈরি হলো। ঈদের আগে যে তেল হাওয়া হয়ে গেল সেই তেল ঈদের পর কোথা থেকে এলো। বিষয়টি এখানে স্পষ্ট যে, এর পেছনে অসৎ মুনাফা ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজি রয়েছে।’

দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, শুধু ঈদের পর এ কয়দিনেই আগের ১৬০ টাকা দামের তেল ২০০ টাকার বেশি বিক্রি করে ইতোমধ্যে ১৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মজুতকারীরা। এটা জঘন্য অপরাধ। ভোক্তার অভিযান ঠিক তাদের বিরুদ্ধে। তাই এই অভিযান চলবে।’

এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ মনজুর শাহরিয়ারসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর