বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাম বেড়েছে মাংস-পেঁয়াজের

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:১৯

গরুর মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির দাম‌ও। রান্নায় নিত্য ব্যবহার্য পেঁয়াজের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে মাংস ও পেঁয়াজের দাম। বিপরীতে ওঠানামা করছে সবজির দর।

ঢাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বাড়তি গরুর মাংসের দাম। খুচরা বাজারে কোথাও ৭০০, কোথাও সাড়ে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো এ মাংস, তবে বর্তমানে বেশিরভাগ জায়গায় ৭০০ টাকার নিচে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

গরুর মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির দাম‌ও। রান্নায় নিত্য ব্যবহার্য পেঁয়াজের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

মাংসের দাম বাড়ার বিষয়ে তেজকুনিপাড়ার মাংস বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, ‘দামাদামি করার টাইম নাই, অনেক কাস্টমার। গরু ৭০০ টাকা, একেবারে ফ্রেশ মাংস। মাংসের দাম আর কমব না।

‘কয়দিন আগে আমিও সাড়ে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করছি। এখন আর পারা যাচ্ছে না; বাড়তি দামে কিনে আনতে হইতাছে।’

কারওয়ান বাজারে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম। এ বাজারে সাড়ে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়।

খোকন নামের বিক্রেতা বলেন, ‘আমাগো এখানে দাম হঠাৎ করে বাড়ানো যায় না; এখানে বাড়লে অন্য জায়গায় দাম বাড়ায়। অনেক খুচরা দোকানদার এখান থেকে নিয়া মাংস বিক্রি করে।

‘শবে বরাতের পর থেকেই এখানে মাংসের দাম সাড়ে ৬০০ টাকাই আছে। খাসি অবশ্য ৯০০ থেকে ৯৫০-এর মধ্যে ওঠানামা করে।’

সপ্তাহখানেক আগেও যে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, তা ১৮০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। সোনালি ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে কেজিতে।

কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা আবুল বাশার বলেন, ‘রোজার ঈদে তো গরু কোরবানি হয় না। এই সময় মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে দর বাড়তি থাকে।

‘এখন প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩১০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রি করছি। ১৫ থেকে ২০ টাকার মতো দাম বাড়ছে প্রতি কেজিতে।’

সবজির দামের ওঠানামা

কারওয়ান বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা রায়হান বলেন, ‘কাঁচামালের ঠিক নাই। এই বাড়ে এই কমে। সবজির মধ্যে শসা ৩০, ঢ্যাঁঢ়স ২৫, কাঁচামরিচ ৮০, উস্তে ৫০, পটল ৩০ টাকা। আলু আগের মতোই ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি।’

সবজি বিক্রেতা রবিউল বলেন, ‘টমেটোর দাম বাড়তাছে। প্রতি ক্যারেটে (২৩ থেকে ২৫ কেজি) ৩০০ টাকার উপরে দাম বাড়ছে তিন দিনে।

‘আমরা আগে টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। এখন ৪০ টাকার নিচে বেচা যায় না।’

পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন, ‘গৃহস্থরা পেঁয়াজ রাখি (মজুদ) করতেছে। এ জন্য বাজারে পেঁয়াজ কম আসে; দামও বাড়তাছে। দেশি ও ইন্ডিয়ান দুই ধরনের পেঁয়াজের পাল্লা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করতাছি।

‘পেঁয়াজে পেঁয়াজে কিছু পার্থক্য আছে। ছোট-বড় আছে, ভালো-খারাপ আছে।’

খুচরা বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এক সপ্তাহে আগেও ছিল ৩৫ টাকা।

চায়না রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং চায়না আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মুদি দোকানে প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, সাদা প্যাকেট চিনি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, ছোট দানার মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০, বড় দানার ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর