পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র ব্যাংক রূপালী গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় করতে পারলেও লভ্যাংশ অনেকটাই কমিয়েছে।
এবার বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে আয় ছিল ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির এবার আগের বছরের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ আয় করেছে।
আয় বাড়লেও রূপালীর শেয়ারপ্রতি সম্পদ কমে গেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে রূপালীর প্রতি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৪০ টাকা ৯ পয়সা। গত ডিসেম্বরে সেটি দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮৮ পয়সায়।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের আগামী ১২ জুন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৮ জুলাই।
পুঁজিবাজারে বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটির আয় ও লভ্যাংশ বেশ কম।
২০১৯ সালে ব্যাংকটি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেও তা বিতরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির কারণে। এরপর গত বছর আয় কমে যাওয়ার পরও তারা বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটি কখনও নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, এমন তথ্য নেই ডিএসইসির ওয়েবসাইটে। তার পরও বেশ ভালো পরিমাণে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, এমন ব্যাংকের তুলনায় রূপালীর শেয়ারদর অনেকটাই বেশি।
গত ২১ নভেম্বর থেকে টানা দরপতন হতে থাকলেও ব্যাংকটির সর্বশেষ শেয়ারদর ২৭ টাকা ৪০ পয়সা।
গত এক বছরে এই শেয়ারদর ২১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪১ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।