আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি আয় কমলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়িয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের পর্ষদ। অর্থাৎ তারা শেয়ারপ্রতি পাবেন ১ টাকা করে।
বুধবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
আগের বছরও লভ্যাংশ ১০ শতাংশ থাকলেও এর মধ্যে নগদে বিতরণ করা হয় সাড়ে ৭ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৭৫ পয়সা। বাকি আড়াই শতাংশ দেয়া হয় বোনাসে।
এ নিয়ে টানা চার বছর ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিল ব্যাংকটি। এর মধ্যে ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও এবারের মতোই ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। সেই ধারা থেকে বের হয়ে ২০১৫ সালে প্রথম বিনিয়োগকারীরা নগদ লভ্যাংশ লাভ করেন। লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ১২ শতাংশ।
এরপর ২০১৬ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এক্সিম ব্যাংক, যা ব্যাংকটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আর ২০১৭ সালে দিয়েছিল সাড়ে ১২ শতাংশ।
নগদ লভ্যাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও এবার ব্যাংকটি তুলনামূলক কম আয় করেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আয় কমে ৫০ পয়সা বা প্রায় ২৫ শতাংশ।
আয় কমার প্রবণতা এর আগেও দেখা গেছে। ২০১৬ সালে ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে আয় বেড়ে পরের বছর ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা। সেখান থেকে ২০১৮ সালে ১৯ পয়সা বেড়ে ইপিএস দাঁড়ায় ২ টাকা ৩৪ পয়সায়।
পরের বছরেই ৬৯ পয়সা কমে যায় এক্সিম ব্যাংকের আয়। এরপর দুই বছর কিছুটা বেড়ে ২০১৯ সালে ১ টাকা ৬৯ পয়সা ও ২০২০ সালে ১ টাকা ৯৯ পয়সা হয়।
আয় কমলেও ব্যাংকটির শেয়ার সম্পদ বেড়েছে কিছুটা। ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ২১ টাকা ১৩ পয়সা। সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭২ পয়সায়।
যেসব বিনিয়োগকারী এই লভ্যাংশ গ্রহণ করতে চান, তাদের শেয়ারটি ধরে রাখতে হবে ২৬ মে। সেদিন ব্যাংকটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদন করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২২ জুন।