শেয়ার কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবে টাকার ঘাটতি পাওয়ার পর ব্রোকারেজ হাউজটির ফ্রি লিমিটসহ ৫টি সুবিধা স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ-ডিএসই।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে টাকা থাকার কথা, তার চেয়ে টাকা কম রয়েছে হাউজটিতে।
বুধবার ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূইয়া সাক্ষরিত চিঠিটি রশীদ ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ডিএসইর একটি দল ব্রোকারেজ হাউজটিতে এক অনুসন্ধানে বিনিয়োগকারীদের হিসাবে ২৩ মার্চ ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ঘাটতি পায়। দুই দিন পর ২৫ এপ্রিল ঘাটতি ছিল ৩২ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে তাদেরই টাকা নেই। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর ৬(১)(২) লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তবে রশীদ ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী দাবি করেন, গ্রাহকরা সময়মতো টাকা জমা না দেয়ায় ডেবিট ব্যালেন্স হয়েছিল। তবে সেটা এরই মধ্যে পূরণ করা হয়ে গেছে।
আইন অনুযায়ী, একটি ব্রোকারেজ হাউজ ব্যাংকে বিনিয়োগকারী তথা গ্রাহকদের জন্য একটি সমন্বিত ব্যাংক হিসাব খুলবে, যা রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের টাকা জমা ও উত্তোলনের জন্য। যা ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারবে না।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঘাটতি থাকায় রশীদ ইনভেস্টমেন্টের ট্রেক মার্জিন রেগুলেশনের ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত থাকবে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে মালিকানার বিপরীতে লভ্যাংশ প্রাপ্তি, আইপিও/কিউআইও কোটা, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) নিবন্ধন সনদ নবায়ন ও নতুন শাখা বা ডিজিটাল বুথ খোলার সুবিধা স্থগিত থাকবে।
এর বাহিরে ঘাটতি সমন্বয়ের পর ন্যূনতম এক বছর রশীদ ইনভেস্টমেন্টে বিশেষ তদারকি করবে ডিএসই। এছাড়া প্রতিমাসে দুইবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ও ডিপি-তে থাকা সিকিউরিটিজ যাচাই করা হবে।