বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ ট্রেডারে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার বিএসইসির

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:৪৯

সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হলেও এর ১৫ মিনিট আগেই প্রিঅর্ডার দেয়া যায়। সে সময় দেখা যায়, দাম আরও কমে যাবে-এই আশঙ্কায় ১৫ মিনিট আগেই দরপতনের সেই সর্বোচ্চ সীমায় বিক্রয়াদেশ দিয়ে রাখেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীর আদেশ মানতে গিয়ে ১৫ ট্রেডারের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশকে মানতে পারেননি ব্রোকাররা।

লেনদেন শুরুর আগেই ২ শতাংশ কমে বিক্রয়াদেশ দেয়ার কারণ দেখিয়ে নয়টি ব্রোকারেজ হাউজের ১৫ ট্রেডারকে লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট আগেই শূন্য দরে বা দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় শেয়ার বিক্রয়াদেশ দেয়ায় গত ১৮ এপ্রিল ৯ ব্রোকারেজ হাউজের ১৫ ট্রেডারের ‘আচরণকে’ অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মনে করে কমিশন। যে কারণে তাদের লেনদেন কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।

ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে বিএসইসি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল, তার একটি ছিল দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ। প্রথম দিনে এই পদক্ষেপ কার্যকর মনে হলেও পরে এটিই লেনদেন কমার কারণ হিসেবে উঠে আসে।

পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির দুই শতাংশ দরপতন খুবই স্বাভাবিক একটি চিত্র। নানা সময় দেখা যায়, এর চেয়ে বেশি দর কমার পর সেদিনই ক্রয়চাপে আরও দাম বেড়েছে। কিন্তু দুই শতাংশের এই বিধানের কারণে দেখা যায়, দুই শতাংশ দর কমে যাওয়ার পর ক্রেতা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন দরপতন ঘটতে থাকে।

সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হলেও এর ১৫ মিনিট আগেই প্রিঅর্ডার দেয়া যায়। সে সময় দেখা যায়, দাম আরও কমে যাবে-এই আশঙ্কায় ১৫ মিনিট আগেই দরপতনের সেই সর্বোচ্চ সীমায় বিক্রয়াদেশ দিয়ে রাখেন বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারীর আদেশ মানতে গিয়ে ১৫ ট্রেডারের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশকে মানতে পারেননি ব্রোকাররা।

এর আলোকে গত ২১ এপ্রিল স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেয় ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও।

চিঠিতে ডিবিএ বলে, মার্কেট প্রাইস- এ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের একটি কার্যকর ও বৈধ পদ্ধতি। শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় অর্ডারবুক অনুযায়ী, ট্রেডাররা সেই মার্কেট প্রাইস অপশন অনুসরণ করে শেয়ার বিক্রয়ের আদেশ দেন এবং একই প্রক্রিয়ায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, শেয়ারের দর নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশন কর্তৃক সার্কিট ব্রেকার দেয়া থাকে। এ সার্কিট ব্রেকার প্রত্যেক কোম্পানির শেয়ারের দরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নসীমা নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় কোন ট্রেডার চাইলেই উক্ত সীমা অতিক্রম করে কম দরে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে না। অতএব অভিযুক্ত ট্রেডাররা ২ শতাংশ সার্কিট সীমার মধ্যেই শেয়ার বিক্রি করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর