দেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল ও গভর্ন্যান্স (ইএসজি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিএটি বাংলাদেশ।
সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, পানি পুনর্ব্যবহার, নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বাধিক ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএটি বাংলাদেশের ইএসজি লক্ষ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানিটি ১১১ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কোম্পানির বিশুদ্ধ খাবার পানির প্রকল্পের মাধ্যমে ১১১টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ লাখ ৭৩ হাজার গ্রামীণ মানুষের খাবার পানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের বাইরে থাকা ১৫ হাজার মানুষের জীবন আলোকিত করছে বিএটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি। সম্প্রতি কোম্পানিটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং সোলশেয়ারের সহযোগিতায় রাজশাহীতে একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক প্ল্যান্টের সূচনা করেছে।
ইএসজি রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনীম বলেন, ‘ইএসজি রিপোর্ট প্রকাশ করার মাধ্যমে আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এসডিজির ৮টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করছে বিএটি বাংলাদেশ।
‘এই ইএসজি প্রতিবেদনটি সম্ভাবনাময় আগামী বিনির্মাণে বিএটি বাংলাদেশের নিরলস প্রচেষ্টা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অনন্য নজির।’
বিএটি বাংলাদেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার উল্লেখযোগ্য সম্মাননা পেয়েছে বিএটি বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে বনায়নের জন্য পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, পরপর সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার, টানা তিনবার শীর্ষ নিয়োগকর্তার পুরস্কার।
বিএটি বাংলাদেশ মনে করে, ইএসজি রিপোর্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও অনুপ্রাণিত করবে। এটি সবার জন্য সম্ভাবনাময় আগামী বিনির্মাণের পথ প্রশস্ত করবে।