চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এর আমদানি ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমানো হয়েছে। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং এ দিন থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এনবিআর বলেছে, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক হার কমানোর ফলে চাল সহজলভ্য হবে এবং ভোক্তা কম দামে চাল কিনতে পারবেন।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলেন, আগে চাল আমদানিতে মোট শুল্ক ছিল সাড়ে ৬২ শতাংশ। আমদানি শুল্ক বা কাস্টম ডিউটি হ্রাস করা এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে নেয়ার ফলে মোট শুল্ক হার দাঁড়ালো প্রায় ২৬ শতাংশ্।
এনবিআরের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, বাজারে চালের দাম সহনীয় রাখতে শুল্ক হার কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এর ফলে চালের বাজার স্থিতিশীল হবে এবং ভোক্তা আগের চেয়ে কম দাম চাল কিনে খেতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন শুল্ক হার কার্যকর থাকবে। তবে আমদানির আগে প্রতিটি চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মনোনীত যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
তবে বাসমতি কিংবা সুগন্ধযুক্ত চাল আমদানি পূর্বনির্ধারিত অর্থাৎ ২৫ শতাংশ শুল্কেই আমদানি করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরের শেষে আমন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত সময়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানি করতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’