বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্দর এখন জাহাজজটমুক্ত

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৪৩

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘একটি জাহাজ এক দিনের বেশি অপেক্ষা করলে আউটারে ১২-১৫ হাজার ডলার ডেমারেজ দিতে হয়। এখন জট নেই। ফলে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ডলার দিতে হচ্ছে না।’

জাহাজের জটমুক্ত হয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর। বর্তমানে কনটেইনারবাহী কোনো জাহাজকেই বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। বিদেশ থেকে কনটেইনার নিয়ে আসা জাহাজগুলো সরাসরি বন্দরের জেটিতে বার্থিং নিচ্ছে।

বন্দরের পরিবহন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরের মোট ১২ জেটির ৭টিতে জাহাজ ছিল। ২টিতে রাতের জোয়ারে জাহাজ ভেড়ার শিডিউল রয়েছে।

রোববার ছিল একই চিত্র। বহির্নোঙরে অপেক্ষা না করে সরাসরি জেটিতে ভিড়েছে দুটি জাহাজ। উন্নতি হয়েছে খোলা পণ্যের জাহাজ (বাল্ক) বার্থিংয়েও। এ ছাড়া বন্দর ইয়ার্ডে নেই কনটেইনার জট।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। বিশেষ করে করোনাকালে লকডাউনে শিল্পকারখানা বন্ধ থাকার ফলে বিশ্বের নানা দেশ থেকে আমদানি হওয়া কাঁচামাল বন্দরের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে। এতে কনটেইনারের পাহাড় গড়ে ওঠে ইয়ার্ডে ইয়ার্ডে।

জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস এবং কনটেইনারের অভাবে রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ ব্যাহত হওয়ায় বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমেও এর প্রভাব পড়ে। বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার এবং বহির্নোঙরে জাহাজজট তৈরি হয়।

বন্দরের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সংকট নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নেয়। বিশেষ করে কনটেইনার খালাসে গতিশীলতা তৈরির ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অপরদিকে আমদানি হওয়া ৩৭ ধরনের পণ্য বেসরকারি আইসিডিগুলো থেকে খালাস করা যেত।

পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার বেসরকারি আইসিডি থেকেও খালাস করা যাবে। সরকারি এ সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরের বিভিন্ন ইয়ার্ড থেকে পণ্যবাহী কয়েক হাজার কনটেইনার ১৯টি আইসিডিতে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। ফলে বন্দর অভ্যন্তরে জট কমে যায়।

কনটেইনারবাহী জাহাজের গড় অপেক্ষমাণ সময় শূন্যে নেমে এসেছে। এতে দিনে যে ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার বাড়তি খরচ গুনতে হতো, তা থেকে মুক্তি মিলেছে ব্যবসায়ীদের।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘একটি জাহাজ এক দিনের বেশি অপেক্ষা করলে আউটারে ১২-১৫ হাজার ডলার ডেমারেজ দিতে হয়। এখন জট নেই। ফলে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ডলার দিতে হচ্ছে না।’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ কোনো কনটেইনার জাহাজ নেই। চট্টগ্রাম বন্দরের এ গতিশীলতা বিশ্বের শিপিং সেক্টরে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করছে।’

দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ১৯টি বেসরকারি ডিপো থেকে শতভাগ রপ্তানি পণ্য সরাসরি বন্দর জেটির জাহাজে তোলা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর