বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চু্ক্তি করেও কারা চাল দেয়নি, তালিকা চান মন্ত্রী

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২১ ২০:৩৩

‘দেশে পর্যাপ্ত ফসল হয়েছে, খাদ্যশস্যের কোনো সংকট হবে না। এ সময়ে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। প্রয়োজনে বেশি কর ছাড় দিয়ে খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে।’

চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহে ব্যর্থ চালকল মালিকদের তালিকা তৈরি করতে খাদ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ধান মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিটি জেলায় বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রমকে জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে চালকল মালিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

এ সময় অবৈধ মজুতদারদের তথ্য জেলা প্রশাসন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে চালকল মালিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত ফসল হয়েছে, খাদ্যশস্যের কোনো সংকট হবে না। এ সময়ে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। প্রয়োজনে বেশি কর ছাড় দিয়ে খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে।’

চালকল মালিকদের মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ন্যূনতম লাভে বাজারে চাল সরবরাহ করুন।’

এ সময় চুক্তি মোতাবেক চাল সরবরাহে ব্যর্থ চালকল মালিকদের তালিকা চান তিনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা হতে চালকল নেতারা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এ সময় তারা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহের অঙ্গীকার করেন।

নওগাঁ জেলার অটো চালকল মালিক সমিতির বেলাল আহমেদ বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান চাল প্যাকেটজাত করছে, বাজারে সেগুলো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও এখন ধান মজুত করছেন উচ্চ দামে বিক্রির আশায়।’

আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো হলে মজুত করা ধান বাজারে আসতে শুরু করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে চালের দামও নেমে আসবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী এরফান আলী বলেন, ‘ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া অনেকেই ধানের মজুত করেছেন। বাজারে ধানের সংকটের কারণে মিলমালিকরা ধান কিনতে পারছেন না। ফলে চুক্তি অনুযায়ী অনেক চালকল মালিক খাদ্য গুদামে সময়মতো চাল দিতে পারছেন না।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) খাজা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘৩০ জুনের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ শতাংশ ছিল। করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত সেদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৫৭ শতাংশ এবং আতপ চাল ৪৬ শতাংশ।’

এ বিভাগের আরো খবর